
স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদ নিয়ে দ্বন্দ্বে শ্রেণী কক্ষে তালা লাগানোর অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। রবিবার সকাল ৯টায় ওই বিদ্যালয়ের অফিস ও শ্রেণী কক্ষে তালা লাগানো হয়।
স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক। গত ৫ই আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর আওয়ামীলীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক পালিয়ে যান। এর কিছুদিন পর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ জানান, সম্প্রতি বিদ্যালয়ের সভাপতি মনোনীত করতে বিএনপির সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ গ্রুপের পক্ষে এলাঙ্গী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হকের নাম ১ নম্বরে এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি তৌহিদুল আলম মামুনের পক্ষে চট্টগ্রাম বিশ^ বিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল মোমিনের নাম ২ নম্বরে এবং জামায়াত নেতা আইয়ুব আলীর নাম ৩ নম্বরে রেখে ওই তালিকা বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রেরন করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আব্দুল মোমিনের নাম ১ নম্বরে রেখে শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো হয়। এদিকে এ খবর প্রচার হলে রবিবার সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখতে পাই শ্রেণী কক্ষে তালা ঝুলছে। পরে শিক্ষা অফিসে বিষয়টি জানানো হয়। এর দুই ঘন্টা পর স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা তালা ভেঙ্গে ফেলে বিদ্যালয় খুলে দেন।
এবিষয়ে সাবেক ছাত্রদল নেতা আব্দুল মোমিন বলেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি মনোনীত না হওয়ার শঙ্কায় বিএনপি নেতা নাজমুল হক তার লোকদের দিয়ে বিদ্যালয়ের অফিস ও শ্রেণী কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল। পরে সংবাদ পেয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা তালা ভেঙ্গে বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দুই ঘন্টা পর ক্লাস শুরু হয়।
তবে এবিষয়ে বিএনপি নেতা নাজমুল হক বলেন, আমাকে ১ নম্বরে রেখে তালিকা পাঠানোর পর আজ জানতে পরেছি আমাকে ২ নম্বরে রেখে তালিকা বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। তবে একারনে আমি অথবা আমার কোন লোক বিদ্যালয়ে তালা লাগাইনি। প্রতিপক্ষ লোকজন অপপ্রচার চালিয়ে তার সুনাম ক্ষুন্ন করছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এবিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালা খুলে দিয়েছে। এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।