ধুনটে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় পরকীয়া প্রেমিক গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনটে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী রাসেল আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় মিন্টু (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মিন্টু নিহত রাসেলের স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। মিন্টু ধুনট পৌরসভার পশ্চিমভরনশাহী গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। সোমবার সকালে তাকে ধুনট থানা হাজত থেকে বগুড়ার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

মামলাসূত্রে জানাযায়, ধুনট পৌরসভার পশ্চিমভরনশাহী গ্রামের আবু রায়হান সোনার ছেলে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী রাসেল আহমেদ (৩০) দেড় বছর আগে কাজিপুর উপজেলার হরিনাথপুর গ্রামের লুৎফর রহমান খানের মেয়ে নাদিরা খান প্রেমাকে (২৫) ভালোবেসে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর রাসেল তার স্ত্রীকে নিয়ে পশ্চিমভরনশাহী গ্রামে শ্বশুরবাড়ির পাশেই একটি ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করে। এমতাবস্থায় বিভিন্ন অজুহাতে রাসেলের কাছ থেকে স্ত্রীর মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা ধার নেয় শ্বাশুড়ি বিউটি খাতুন।

এদিকে ব্যবসায়িক কাজে রাসেল ব্যস্ত থাকার সুবাদে স্ত্রী প্রেমা প্রতিবেশি যুবক মিন্টুর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিষয়টি টের পেয়ে রাসেল তার স্ত্রীকে মিন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে নিষেধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমা তাকে ডিভোর্স দিতে রাসেলকে চাপ সৃষ্টি করে।

একারনে গত ২৬ মে রাসেল তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে পাওনা টাকা ফেরত চাইলে তাকে মারধর করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এসময় স্ত্রী প্রেমা খান রাসেলকে বলে যে, হয় ডিভোর্স দে, না হয় আত্মহত্যা করে আমাকে চিরতরে মুক্তি দে’। তার এই প্ররোচনায় এবং ব্যবসার পুঁজি হারিয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে রাসেল। একপর্যায়ে গত ২৭ মে সকালে রাসেল তার ফেসবুক লাইভে এসে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এঘটনায় রাসেলের বাবা আবু রায়হান সোনা বাদী হয়ে ছেলের স্ত্রী নাদিরা খান প্রেমা (২৫), শ্বাশুড়ি বিউটি খাতুন (৫০), পরকীয়া প্রেমিক মিন্টু (৩০), শ্বশুর লুৎফর রহমান খান (৫৮) সহ ৬ জনকে আসামী করে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেন।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল আলম জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।