স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিগত ১৫-১৬ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে এই বগুড়া রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার হয়েছে। বগুড়ার নাম শুনলে কোথাও চাকরিতে নেওয়া হতো না। বগুড়ার নাম শুনলে তাকে কোথাও স্থান দেওয়া হতো না। বগুড়ার মানুষদের নির্বিচারে মিথ্যা ভুয়া মামলা দেওয়া হতো। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরা চাই মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সবাই সমান সুযোগ পাবে। আমরা কোন বিশেষ সুবিধা ও বৈষম্য চাই না। যার যতটুকু প্রাপ্য, যে এলাকার যতটুকু পিছিয়ে আছে সেই এলাকায় ততটুকু উন্নয়ন করতে হবে। উন্নয়নের সুষম বন্টন করতে হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বগুড়া সিটি কর্পোরেশনের দ্বারপ্রান্তে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি শহর জুড়ে অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতা। নাগরিকদের নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দ্রুত বগুড়া বাসি যাতে সকল নাগরিক সুবিধা পায় সেই জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টি বগুড়া বাসীর সকল নাগরিক সুবিধার জন্য লড়াই করবে। জাতীয় নাগরিক পার্টির কাছে অভিযোগ আছে, বগুড়ার প্রশাসন নিরপেক্ষ আচরণ করছে না। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পরে আমাদের দাবি ছিল নিরপেক্ষ প্রশাসন নিরপেক্ষ পুলিশ এবং নিরপেক্ষ আদালত নিশ্চিত করতে হবে। যদি কেউ সেই পুরনো কায়দায় দলবাজ প্রশাসকদের মতো আচরণ করে তার পরিণতি ও ফ্যাসিস্ট মুজিব বাদীদের দোসরের মত হবে।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডিসি ও নির্বাচন কমিশনরের দায়িত্ব নিয়ে ভোট ডাকাতি করেছে তাদের পরিনতি ভয়ংকর হয়েছে। এই বগুড়াতে কোন দলবাজ প্রশাসকের, কোন দলবাজ পুলিশ অফিসারের স্থান হবে না। বগুড়ার প্রশাসক, পুলিশ, আইন আদালতকে নিরপেক্ষ আচরণ করতে হবে। গণমানুষের পক্ষে থাকতে হবে। কোন দলের পক্ষে থাকা যাবে না।
শনিবার দুপুর ১২টায় বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে থেকে দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা বের হয়ে শহরের থানা মোড়ে হয়ে সাতমাথা মুক্তমঞ্চে এক পথসভা এসব কথা বলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় আহবায়ক নাহিদ ইসলাম।
পদযাত্রায় জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসাইন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সার্জিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনীম জারাসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।