ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় হঠাৎ করেই ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টিতে নুয়ে পড়েছে রোপা-আমন মৌসুমের শতাধিক হেক্টর জমির ধান ক্ষেত। তবে শুধু ধান চাষিরাই নয়, তাদের মতো বিপাকে পড়েছেন আগাম ভুট্টা চাষিরাও।
শনিবার সরেজমিন ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী, মথুরাপুর, গোপালনগর ও ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ফসলী মাঠ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
গোপালনগর ইউনিয়নের মহিশুরা গ্রামের কৃষক আজিজার রহমান জানান, তিনি এই মৌসুমে ৭৫ শতক জমিতে স্বর্ণা-৫ জাতের ধান রোপন করেছেন। ফুল ঝড়ে ধানে পরিনত হওয়ার সময়ই গত বৃহস্পতিবার ও শনিবার হঠাৎ ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টিতে অর্ধেক জমির ধান গাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এতে ফলন অনেকটাই কমে যাবে বলে আশংঙ্কা করছেন তিনি।
চৌকিবাড়ী গ্রামের ধান চাষি ইমরান সরকার জানান, তিনি এবছর ৯৯ শতক শতক জমিতে হাইব্রিড ১০৩ জাতের ধান রোপন করেছেন। ফলনও ভালোই হয়েছে। কিন্তু গত দুই দিনের বৃষ্টিতে তার সম্পূর্ণ জমির ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এছাড়া তার আরো ১০৫ শতক জমির অপরিপক্ক গুটি স্বর্ণা ও স্বার্ণা-৫ জাতের ধান ক্ষেতও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, হঠাৎ বৃষ্টিপাতের কারনে এই এলাকার প্রায় অনেক কৃষকের ধান ক্ষেতই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
তবে এই বৃষ্টিপাতে শুধু ধান চাষিরাই নয়, তাদের মতো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন আগাম ভুট্টা চাষিরাও।

একই গ্রামের ভুট্টা চাষি এনামুল হক জানান, চলতি রোপন-আমন মৌসুমে ৪ বিঘা জমিতে আগাম ৯৬ জাতের ধান কর্তনের পর জমি প্রস্তুত করে ২ বিঘা জমিতে ভুট্টার বীজ রোপন করেছিলাম। কিন্তু রোপনের একদিন পরই অতিরিক্ত বৃষ্টিতে সম্পূর্ণ জমির ভুট্টার বীজই পচে নষ্ট হয়ে গেছে।
ধুনট উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজেদুল করিম জানান, চলতি রোপা-আমন মৌসুমে ধুনট উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১৬ হাজার ৬৭৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৬২৫ মেট্রিক টন চাল উৎপাদানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু গত দুই দিনের বৃষ্টিতে অনেক ধান ক্ষেতই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ছমিদুল ইসলাম জানান, প্রাকৃতিক দূযোর্গ মোকাবেলায় কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়া কৃষি ভর্তুকিও প্রদান করা হচ্ছে।







