ইমরান হেসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়া জেলায় রোপা-আমন ধান কাটার ধুম পড়েছে। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও কৃষকেরা তদের কাঙ্খিত ফসল ঘরে তুলতে পেরে হাঁসি ফুটেছে তাদের মুখে। তবে সম্প্রতি ঝূর্ণিঝড় সিত্রাং এর তাণ্ডপে কপালও পুড়েছে এই জেলার অনেক কৃষকের।
জানাগেছে, বগুড়া জেলার শেরপুর, ধুনট, কাহালু, নন্দিগ্রাম ও শিবগঞ্জ উপজেলাসহ ১২টি উপজেলায় রোপা-আমন ধান কাটতে কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। ধান মাড়াই, সিদ্ধ এবং শুকানোর কাজে গৃহিনীরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং তাণ্ডপে এই জেলার অনেক কৃষকেরই কপাল পুড়েছে।
ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, তিনি ৪ বিঘাতে জমিতে রোপা-আমন ধান চাষ করেছেন। কিন্তু সম্প্রতি ঘূর্ণীঝড় সিত্রাং এর তাণ্ডপে তার জমির রোপা-আমন ধান ক্ষেত মাটিতে শুয়ে গেছে। এতে তার অনেক ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
আরো পড়ুন- দিনাজপুরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত দুটি মর্টার শেল উদ্ধার
সারিয়াকান্দী উপজেলার দড়িপাড়া গ্রামের কৃষক চাঁন মিয়া জানান, ঝড়ে কিছু জমির ধান গাছ মাটিতে পড়ে নষ্ট হলেও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রোপা-আমন ধান রোপনের পর অনাবৃষ্টিতে দুঃচিন্তায় পড়লেও ধানে শীষ আসের আগে বৃষ্টিপাত হওয়ায় সেই সংকট দূর হয়ে যায়। ধান কাটা শুরু হওয়ায় কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটলেও বর্তমানে দিনমজুর সংকট এবং মজুরী বেশী হওয়ার কারনে চিন্তিত রয়েছি।
শেরপুরের সীমাবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল আজিত জানান, ঝড়ে জমির ধান পানিতে ডুবে গেছে। ওই সব জমির উৎপাদন কম হবে।
বগুড়া কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কারনে ধানের খুব একটা ক্ষতি হয়নি। ঝড়ের আগেই এই জেলার প্রায় অর্ধেকের মতো ধান কর্তন হয়েছিল।
ভিডিও প্রতিবেদন দেখতে ‘অনুসন্ধানবার্তা’ ইউটিউব চ্যানেলটি সাবক্রাইব করুন-