ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া):
বগুড়ার ধুনটে অভিভাবকদের অসচেতনতায় বাড়ছে স্কুল পড়ুয়া নাবালিকা ও কিশোর-কিশোরীদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা। এসব ঘটনা অভিভাবকদের অসচেতনতায় হরহামেশে ঘটে আসলেও তা একপর্যায়ে মামলা পর্যন্ত গড়ছে। এতে যেমন উভয় পরিবারের সদস্যদের হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে, তেমনি তাদের খুঁজে পেতেও অনেকটাই বেগ পেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।
সর্বশেষ শুক্রবার (০২ ডিসেম্বর) গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গুয়াডহরী গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তি তার স্কুল পড়ুয়া এক মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ এনে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি মামলায় উল্লেখ করেছেন, তার নাবালিকা মেয়ে (১২) স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। গত ২৪ নভেম্বর চুনিয়াপাড়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (১৭) ওই মেয়েটিকে বিদ্যালয়ের যাওয়ার পথে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এবিষয়ে ওই মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে রাসেল মিয়া সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
অপরদিকে ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার জনৈক এক ব্যক্তির মেয়ের সঙ্গে (১৪) মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে কালেরপাড়া ইউনিয়নের হাঁসোখালী দহপাড়া এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে রাসেল মিয়া (২১)। ওই মেয়েটি সোনাহাটা বাজারের একটি বেসরকারি স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী।
গত কয়েক মাস আগে মোবাইলফোনে ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে রাসেল মিয়া। সেই সুবাদে রাসেল মিয়া মেয়েটির সঙ্গে ভিডিও কলেও কথাবার্তা আদান প্রদান করত। কিন্তু তাদের সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় রাসেল মিয়া তার এক খালাতো ভাইয়ের মাধ্যমে মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও বার্তা ‘ব্রাজিল বনাম আর্জেটিনা’ ও ‘২০২২ কাতার বিশ^কাপ’ নামে দুটি ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে ছড়িয়ে দেয়।
পরে মেয়েটি বিষয়টি জানতে পেরে তার পরিবারকে জানায়। এঘটনায় গত ২৬ নভেম্বর ওই মেয়েটির মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত রাসেল মিয়া সহ ৩ জনকে আসামী করে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেন।
এবিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, অভিভাবকদের অসচেতনতায় বাড়ছে স্কুল পড়ুয়া নাবালিকা ও কিশোর-কিশোরীদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় অনেকের ভোগান্তিও পোহাতে হয়।