স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ঘুষ দিয়েও নিয়োগ না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঝাঁজর পঞ্চশক্তি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। সেই ঘুষের টাকা ফেরত না দেয়ায় শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী চাকরি প্রার্থী।
জানা যায়, শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাঁজর পঞ্চশক্তি উচ্চ বিদ্যালয়ে শূন্য পদে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ২১ জুলাই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেই মোতাবেক ৩১ জুলাই গাড়িদহ ইউনিয়নের রাণী নগর গ্রামের দবির উদ্দিনের ছেলে মনিরুজ্জামান সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করেন। চাকরীর বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি সেলিম রেজার কাছে গেলে তিনি ৬ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে গত ৩ অক্টোবর চাকরী নেয়ার জন্য সেলিম রেজাকে ৬ লাখ টাকা প্রদান করেন।
পরবর্তীতে নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হলে মনিরুজ্জামান সভাপতির কাছে বিষয়টি জানতে চায়। তখর সভাপতি তার কাছ থেকে আরো ৪ লাখ টাকা দাবি করে। সেই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অন্য কাউকে চাকরী দেয়ার কথা জানায়। তখন মনিরুজ্জামান তার দেয়া ৬ লাখ টাকা ফেরত চাইলে সভাপতি সেলিম রেজা তালবাহানা করতে থাকে। এ ঘটনায় গত ৩ জানুয়ারী বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগি চাকরি প্রার্থী মনিরুজ্জামান।
এ ব্যাপারে মনিরুজ্জামান জানান, সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে ঝাঁজর পঞ্চশক্তি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি সেলিম রেজা আমার কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা নিয়েছে। অথচ আমাকে নিয়োগ না দিয়ে আরো বেশি টাকার বিনিময়ে অন্য কাউকে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করছে। নিয়োগের জন্য পরীক্ষার চিঠি তিন কর্মদিবসের আগে দেয়ার কথা থাকলেও আমাকে চিঠি দিয়েছে ৪ ডিসেম্বর বিকেল ৫ টায়। যাতে করে আমি সময়মত পরীক্ষার স্থানে উপস্থিত হতে না পারি।
এ ব্যাপারে ঝাঁজর পঞ্চশক্তি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও কামারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক । সেলিম রেজার মোবাইলফোনে যোগযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা সুলতানা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।