ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা :
বগুড়ার ধুনট উপজেলার আরকাটিয়া মোহনপুর ঘাটের ইছামতি নদীতে নবনির্মিত ব্রীজ ও সংযোগ সড়কের উচ্চতায় প্রায় ৫টি গ্রামের শতাধিক বিঘা ফসলী জমি চাষাবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। তারা এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানাগেছে, বগুড়ার ধুনট উপজেলার আরকাটিয়া-মোহনপুর ঘাটের ইছামতি নদীতে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবী ছিল দির্ঘদিনের। স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের প্রচেষ্টায় ব্রীজটির নির্মাণ কাজ বর্তমানে প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সরকারের জিপিবিআরআইডিপি প্রকল্পের আওতায় ব্রীজটি নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫ কোটি ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ১৬৫ টাকা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে বগুড়ার মেসার্স মাছুমা বেগম এন্ড মো: ময়েন উদ্দিন বাঁশী (জেভী) নামে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ব্রীজ এবং দু’পাশের সংযোগ সড়ক নির্মান করে।
কিন্তু স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, উঁচু সড়ক থেকে জমিতে যাতায়াতের রাস্তা নির্মান করার কথা থাকলে তা কারা হয়নি। একারনে সড়কের উত্তর ও দক্ষিণ পাশ্বের প্রায় কয়েকটি গ্রামের শতাধিক বিঘা ফসলী জমি চাষাবাদ করতে কৃষকদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এবিষয়ে মোহনপুর গ্রামের কৃষক বেলাল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম ও শাহ আলী জানান, ইছামতি নদীর মোহনপুর ঘাটে একটি ব্রীজ ও সড়ক নির্মান ছিল গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। স্থানীয় এমপি হাবিবর রহমানের প্রচেষ্টায় ব্রীজ ও সড়কটি নির্মিত হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এই ব্রীজ ও সংযোগ সড়ক থেকে জমিতে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা রাখেননি।
এতে সড়কের দু’পাশের শতাধিক বিঘা ফসলী জমি চাষাবাদ করতে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। একারনে চিকাশী, সুলতানহাটা, আরকাটিয়া, মোহপুর ও পারধুনট গ্রামের কৃষকদের বিপদে পড়তে হয়েছে। তাই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে গ্রামবাসীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
এব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, ব্রীজের নিচ দিয়ে নৌকা যাতায়াতের জন্য নকশা অনুযায়ি নির্ধারিত উচ্চতায় ব্রীজ ও সংযোগ সড়ক নির্মান করা হয়েছে। কিন্তু কৃষকের জমিতে যাতায়াতে রাস্তা নির্মানের জন্য অতিরিক্ত কোন বরাদ্দ না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে অন্য কোন দপ্তরের বরাদ্দ থেকে রাস্তা নির্মাণের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, কৃষকদের সুবিধার্থে অন্য কোন প্রকল্প থেকে জমিতে যাওয়ার রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।