জেমস আব্দুর রহিম রানা: অনুসন্ধানবার্তা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যশোরের ছাপাখানাগুলোতে ব্যস্ততা বেড়েছে। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকেই পোস্টার ছাপাতে ব্যস্ততার ধুম পড়েছে। দিন-রাতে কাজ চলছে ছাপাখানাগুলোতে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সারাদেশে প্রচারণার মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা। তেমনি প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন যশোরের ছয়টি আসনের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থী ও তাদের নেতাকর্মীরা। প্রার্থীরা তাদের ছবি ও প্রতীক সংবলিত পোস্টার টানাচ্ছেন শহর এবং পাড়া-মহল্লায়। আর প্রার্থীদের প্রচারণার পোস্টার ছাপাতে ব্যস্ততার ধুম পড়েছে যশোরের ছাপাখানাগুলোতে।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে যশোরে ছয়টি আসনে ৩১ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে মাঠে নেমেছেন।
জানা গেছে, যশোরে ছাপাখানা রয়েছে প্রায় ৯৬টি। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় ছাপাখানাও রয়েছে। গত ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মূলত এরপর থেকেই অবসরের সময় পাচ্ছেন না এসব ছাপাখানার কর্মচারীরা। দিন-রাত নির্বাচনী পোস্টার ছাপার কাজে ব্যস্ত তারা।
সরজমিনে যশোরের প্রেস পট্টি ঘুরে দেখা যায়, সেখানকার বড় বড় কয়েকটি ছাপাখানার কর্মচারীদের কথা বলারও সময় নেই। সবাই নির্বাচনী পোস্টার ছাপার কাজে ব্যস্ত। কেউ বড় বড় মেশিনে ছাপার কাজে ব্যস্ত, আবার কেউ ছাপা করা পোস্টার কাটাকুটি এবং বান্ডেল করার কাজ করছেন। এসব ছাপাখানায় কাগজের মান, পরিমাণ এবং প্রকারভেদে ছাপার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
কাজের ফাঁকে কথা হয় প্রিন্টিং হাউজের মালিক জাকির হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সারা বছরই আমাদের টুকটাক কাজ থাকে। কিন্তু নির্বাচনের সময় আমাদের কাজের চাপ বেড়ে যায়। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা তাদের পোস্টার ছাপানোর জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। প্রিন্টিং হাউজের এক কর্মচারী নিজাম উদ্দীন বলেন, দিন-রাত নেই, আমরা সমানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
যশোর জেলা মুদ্রায়ণ শিল্প মালিক সমিতির সহ-সভাপতি নূর ইসলাম বলেন,সারা বছর আমাদের কাজ থাকে না বললেই চলে। করোনার পর থেকে বিভিন্ন কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের লাভের পরিমাণ কমে গেছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাপাখানাগুলো ব্যস্ত সময় পার করছে। এই সময়ে তাদের লাভের পরিমাণ ভালো হবে বলেও সবাই আশাবাদী।