ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় দীর্ঘ ৬ বছর পর ৮১ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ধুনট সদর ইউনিয়নের মাটিকোড়া গ্রামের মৃত রেজাউল করিম তালুকদারের ছেলে জাসাস (জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা) ধুনট উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরুন নবী তালুকদার বাদী হয়ে ধুনট থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য শেখ হাসিনার সরকার তারিখ নির্ধারণ করে। তখন বিএনপি সহ বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল উক্ত অবৈধ ও একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ২১ ডিসেম্বর বিকাল ৪টার দিকে ধুনট উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ধুনট বাজারের বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থায় নেয়। এমন সময় মামলার আসামীরা তাদের উপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরন ঘটায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এই মামলায় ধুনট সদর ইউনিয়নের পাকুড়িহাটা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে ধুনট সদর ইউপি চেয়ারম্যান আ’লীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক এসএম মাসুদ রানা (৩৮) (বর্তমানে কারাবন্দি), জালশুকা গ্রামের সাবেক এমপি হাবিবর রহমানের ছেলে আসিফ ইকবাল সনি (৪৫), উল্লাপাড়া গ্রামের মৃত জালাল মন্ডলের ছেলে আওয়ামীলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আফসার আলী, হুকুম আলীর ছেলে আ’লীগ নেতা সিরাজুল হক লিটন, জহুরুল ইসলামের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সৌরভ হাসান, ধুনট পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক ও ধুনট সরকারি এনইউ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল হাসান ও হাসান খসরু খান নুপুর (বর্তমানে কারাবন্দি), বাংলাদেশ সংবাদিক সংস্থা বাসস এর বগুড়া জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আকতারুজ্জামান, সাংবাদিক আমজাদ হোসেন মিন্টু ও ধুনট মডেল প্রেসক্লাবের সদস্য শাহ আলম জীবন সহ ৮১ জনকে আসামী করা হয়েছে।
তবে রাজনৈতিক মামলায় কেন সাংবাদিকদের টার্গেট করে রাজনৈতক মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে এই নিয়ে ক্ষুদ্ধ সাংবাদিক নেতারা।
তবে দীর্ঘ ৬ বছর পর মামলাটি রেকর্ডভুক্ত প্রসঙ্গে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, তখন হয়তো অজ্ঞাত কারনে মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করা হয়নি। এখন বর্তমান প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের কারনে মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে। তারপরও মামলাটি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।