স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনটে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক গার্মেন্টস কর্মীর বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের মরিচতলা গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিন প্রামানিকের মেয়ে তাছলিমা খাতুন বাদি হয়ে শনিবার ধুনট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগসূত্রে জানাযায়, বাড়ির সীমানা নিয়ে মরিচতলা গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের মেয়ে গার্মেন্টস কর্মী তাছলিমা খাতুনের সঙ্গে বাড়ির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশি মৃত অমতুল্লাহ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম ও লাল মিয়া হোসেনের বিরোধ চলে আসছিল।
এই বিরোধের জের ধরে গত ২৬ নভেম্বর সকালে তাছলিমা খাতুনের বাড়ির সিমানা থেকে প্রতিপক্ষরা মাটি কাটতে থাকে। তখন মাটি কাটার কাজে বাধা দিয়ে মোম্বারের কাছে বিচার চায়। পরবর্তীতে মেম্বার তাদেরকে ডাকলে প্রতিপক্ষরা শালিসী বৈঠকে হাজির হয়নি। এরূপ অবস্থায় ২৯ নভেম্বর বিকালে প্রতিপক্ষগন তাছলিমার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর মেরে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে অবরোধ করে রাখে।
এবিষয়ে মামলার বাদী তাছলিমা খাতুন জানায়, প্রতিপক্ষরা আমাদের বাড়িতে লাঠি সোটা, রামদা, রড ও মারাত্বক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার সোনার গহনা লুটপাট করে নিয়ে যায়। এতে বাধা প্রতিপক্ষরা আমার মাকে রড দিয়ে আঘাত করে হাত ও পা কেটে যায়। এছাড়া আমার ছোট ভাগিনা ইয়াছিনকে লাঠি দ্বারা ডান হাতে আঘাত করে ভেঙ্গে দেয় এবং আমাদের কে এলোপাথারী কিলঘুষি মারে এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করে। পরে সরকারী জরুরী সেবার ৯৯৯ এ ফোন করার পর পুলিশ আমাদেরকে উদ্ধার করে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমার মা ও আমার ভাগিনাকে ধুনট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এবিষয়ে ধুনট থানার এসআই মোস্তাফিজ আলম জানান, খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এঘটনায় তাছলিমা খাতুন বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।