স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনটে যমুনা নদীতে মোবাইলফোনে সেলফি তোলার সময় নিখোঁজ হওয়া সেই শিক্ষার্থী জুনায়েদ রহমানের (১৮) মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরিদল। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১টায় ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের যমুনা নদী থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জুনায়েদ রহমান বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার টাউন কলোনী এলাকার জাহিদুল ইসলামের ছেলে এবং তিনি পল্লী উন্নয়ন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
স্থানীয়সূত্রে জানাযায়, শুক্রবার বিকালে শেরপুর থেকে জুনায়েদ রহমান, তার বন্ধু একই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মফিজ ইকবাল, সোলায়ন আলীর ছেলে অওফি হাসান ও গোলাম সরোয়ারের ছেলে গোলাম শোয়েব ধুনটের যমুনা নদীতে বেড়াতে আসে। তারা বানিয়াজান স্পারের যমুনা নদীতে নেমে একসঙ্গে উৎসব করে মোবাইলফোনে সেলফি তুলছিল। এসময় অসাবধানতাবসত ৪ বন্ধুই একসঙ্গে পানিতে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা ৩ বন্ধুকে উদ্ধার করতে পারলেও পানির শ্রোতে নিখোঁজ হয়ে যায় জুনায়েদ। পরে সংবাদ পেয়ে রাজশাহী থেকে ডুবরিদল ধুনটে এসে উদ্ধার পরিচালা করেন। শনিবার সকাল ১১টার দিকে বানিয়াজান স্পারের ভাটিতে জুনায়েদের মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবরিদল।
এবিষয়ে ধুনট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী থেকে ডুবরিদল নিয়ে এসে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।