ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনট উপজেলার গ্রামীণ জনপদে অর্থকরী ফসল হিসেবে কৃষকেরা পাট চাষ করে আসছেন প্রাচীনকাল থেকেই। কিন্তু বিগত কয়েক বছর পাটের তেমন একটা দাম না পেলেও চলতি মৌসুমে ন্যায্য দামে খুশি এ অঞ্চলের কৃষকেরা। প্রতি মন পাট ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। যা বিগত সময়ের থেকে সর্বোচ্চ দাম বলে জানিয়েছেন পাট চাষিরা।
ধুনট উপজেলার নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দা ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলবাড়ী গ্রামের কৃষক চাঁন মিয়া জানান, যমুনা নদীর পশ্চিম তীরে ১ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। ফলনও ভালোই হইছিল। প্রতি মন পাট ৩ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করেছি। যা বিগত সময়ের থেকে অনেকটাই বেশি।
তিনি আরো জানান, বিগত সময়ে পাটের তেমন দাম না পাওয়ায় কৃষকেরা জমি ফেলে রাখতো। কিন্তু গত এক বছর থেকে পাটের ন্যায্য দাম পাওয়ায় কৃষকেরা পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

চৌকিবাড়ী গ্রামের কৃষক সুবিত মিয়া জানায়, এই বছর ৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। প্রতি বিঘায় পাট চাষাবাদে তার খরচ হয়েছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় তিনি ২০ থেকে ২২ হাজার টাকার পাট ও পাট-কাঠি বিক্রি করেছেন। এরকম দাম পেলে আগামীতে ৬ বিঘা জমিতে পাট চাষ করবেন বলে জানান।
ধুনট উপজেলার পাইকারী পাট ব্যবসায়ী সরোয়ার হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে পাটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই সর্বোচ্চ দামে পাট কিনছেন। প্রতি মন পাট প্রকারভেদে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার পর্যন্ত ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। এই অঞ্চলের পাট ফরিদপুর সহ দেশের বিভিন্ন কারখানাগুলো কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
ধুনট উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রুবেল আহম্মেদ জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় এবং কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এই অঞ্চলে পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই অঞ্চলের পাট দেশের বিভিন্ন মিল-কারখানায় যাচ্ছে। তাই পাটের ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি কৃষকেরা।








