অনুসন্ধানবার্তা ডেস্ক :
ফেনী শহরের বারাহিপুর এলাকায় ফেসবুকে লাইভ চালু করে তাহমিনা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় স্বামী ওবায়দুল হক টুটুলের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়াও তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা করা হয়। মাত্র ৬০ কার্য দিবসে আলোচিত এই এ হত্যাকান্ডের বিচার হলো।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় ফেনী জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফেনী জজ কোর্টের পিপি হাফেজ আহম্মদ এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে খুনের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
হত্যাকাণ্ডের শিকার তাহমিনার বাবা সাহাব উদ্দিন বলেন, ন্যায়বিচার পেয়েছি, বিচার এবং সরকারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু বলেন, অল্প সময়ে মামলাটির বিচার কাজ শেষ হয়েছে। এ রায়ের মধ্য দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে। আমরা সুবিচার পেয়েছি।
অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার বলেন, আমরা সুবিচার পাইনি। সুবিচারের জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করব।
জানাযায়, প্রায় ৫ বছর আগে ফেনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বারাহিপুর এলাকার গোলাম মাওলা ভূঁঞার ছেলে ওবায়দুল হক ভূঁঞা টুটুলের সঙ্গে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আকদিয়া গ্রামের সাহাব উদ্দিনের মেয়ে তাহমিনা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে তাফান্নুন আরোয়া মায়োস নামে দেড় বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল স্ত্রী তাহমিনাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ওবায়দুল হক টুটুল। তবে স্ত্রীকে হত্যার আগে ফেসবুক লাইভ চালু করে টুটুল সবার কাছে মাফ চান এবং ঘটনার জন্য নিজেকেই দায়ী করেন।
এ ছাড়া পারিবারিক অশান্তির জন্য তার স্ত্রীকে দায়ী করেন। তার স্ত্রী পরিবারকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করতেন বলেও দাবি করেন তিনি। এসময় টুটুল তার মেয়েকে দেখভালের জন্য সবার কাছে অনুরোধ করেন।