বগুড়ার আকবরিয়ায় হরেক রকম পিঠার আয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক, অনুসন্ধানবার্তা :
এখনও বগুড়ায় আকবরিয়ার শাখাগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে হরেক রকমের পিঠা। বেলা গড়ার সাথে সাথে হরেক রকম পিঠা তৈরিতে ধুম পড়ে যায়।

বগুড়ার শতাব্দীর স্বাক্ষর আকবরিয়া লিমিটেডের আকবরিয়া হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টসহ সকল শাখায় হেমন্তের বাংলাদেশ হিম বরণীতে পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে।

গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ঢেঁকির তালে তালে ধান ভানার উৎসবে মুখরিত বাংলাদেশের গ্রাম, ঠিক এমনি মুহূর্তেই ঐতিহ্যের স্বাদ নিয়ে এসছে আকবরিয়া।

আমরা বাঙালি, জাতিসত্ত্বা বাঙালি, সমৃদ্ধশালী এ জাতি গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে মনেপ্রাণে লালন করে থাকে। সেই ঐতিহ্যের পিঠার আমেজ পূরণে আকবরিয়া বদ্ধপরিকর।

বিশেষ করে ভাপা পিঠা, ঝাল কুশলি, তেল পিঠা, মনমোহনা পিঠা, খাস্তা পিঠা, মুখ সলা পিঠা, শাহী পিঠা, ঝাল পিঠা, চিকেন নকশী পিঠা, অরেঞ্জ হালুয়া, মিষ্টি কুশলী, সবজি কুশলী, পাটি শাপটা, বৌ সোহাগী, দুধ পিঠা, দুধ কুশলী পিঠা, ভাপা পিঠা, ঝাল কুশলী, সবজি কুশলী, মিষ্টি কুশলী, ফুলঝুড়ি পিঠা, ছেই পিছা, মুগডালের নকশী পিঠা, আন্দেশা পিঠা, গোলাপ পিঠা, শাহি পিঠা মোহনমতি পিঠা, ত্রিরত্ন পিঠা, সিদ্ধ পুলি পিঠা, নারিকেলের রস পিঠা, খির পিঠা, চিতই পিঠা, খেজুর পিঠা স্থান পেয়েছে আকবরিয়ায়।

পিঠার স্বাদ নিতে কর্মব্যস্ত থাকা মানুষদের অর্ডারের মাধ্যমে ঘরে পৌঁছে দিতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এ স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটি।

গ্রামীণ জনপদে শীতের আগমনে ভোর রাত হতে নির্ঘুম মায়েরা ঢেঁকিতে ধান হতে চাল, চাল হতে আটা চূর্ণ করে পিঠার আয়োজন করত অনেক কষ্ট করে। তাই এই কষ্টকে স্মরণ রাখার জন্যই মাকে হৃদয়ে ধরে রাখার মানসিকতা সৃষ্টির লক্ষে এমন ধরণের আয়োজন করছে এই প্রতিষ্ঠানটি।

বর্তমান প্রজন্মরা শহরে বড় হওয়ার কারণে গ্রাম্য সৃষ্টিকালচার হতে তারা অনেক পিছিয়ে।

তবে আকবরিয়ার এই আয়োজন শুধু ব্যবসায়িক ক্ষেত্র নয়, এটি মানুষের মাঝে সেতুবন্ধন ও অতীতকে ধরে রাখার নামান্তর।

পিঠা ক্রেতা শারমিন আরা জানান, নিউ মার্কেটে কেনা-কাটা সেরে যখন বাড়ির দিকে ফিরে যেতে ধরি তখন আকবরিয়ার হরেক রকম পিঠার গন্ধে অতীতের স্মৃতি মনে পড়ে যায়। তাই মাঝেমধ্যে ছেলে মেয়েদের জন্য এখান থেকেই পিঠা কিনে নিয়ে যাই।