সাজু মিয়া, শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা :
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় মাঘ মাসে অসময়ের বৃষ্টিতে আলু ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এলাকার কৃষকেরা।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানান, এলাকার বেশির ভাগ কৃষকদের আলুর জমিতে অতিরিক্ত বৃষ্টি পানি জমে আলুর ফলনের ব্যাপক হ্রাস পাওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এতে করে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন এলাকার কৃষকরা।
এবছর আলু’র ফলন ভাল হলেও মন্দা যাচ্ছে দাম, ফলে কৃষকের মুখে হাসি নেই। ভাল ফলন হওয়ায় কিছুটা দাম ভাল পাওয়ার আশায় কৃষক স্বপ্নের প্রহর গুনছিল। আর মাত্র কয়েক দিন পরই তাদের পরিশ্রমের ফসল বাড়িতে তুলবেন। কিন্তু হঠাৎ করে বাঁধসাধে শুক্রবার শুরু হয় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি, সেই সাথে হিমেল বাতাস। সারাদিন গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হওয়ার কারণে এ উপজেলার ধামাহার, শব্দলদিঘী, দোপাড়া, তিইয়াইল, পঞ্চদাস, পিরব সহ গোটা উপজেলার বেশির ভাগ কৃষককের আলুর জমিতে পানি বেঁধে যায়। বিকালে বৃষ্টি থামলে অনেক কৃষক তাদের আলুর জমি বৃষ্টি জমানো পানি সেচ দেয়।
এ বিষয়ে দোপাড়া এলাকার কৃষক শাহিনুর রহমান জানান, এ বছর আলু রোপন করেছি ৪ বিঘা, খরচ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা, কিন্তু বৃষ্টি হওয়ায় পানি বেঁধে থাকায় আলুর গাছ আংশিক নষ্ট হওয়ায় প্রতি বিঘায় ফলন ৫০-৬০ মন হবে। বর্তমান বাজার মূল্যে ৬০ হাজার আলু বিক্রি করতে পারবো, আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
শিবগঞ্জ পৌর এলাকার দহিলা গ্রামের কৃষক সজিব আহমেদ বলেন, ৪ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। ফলনো হয়েছিলো ভাল । আলু তোলার সময় হয়ে গেছে। আর কয়েকদিন পরেই আলু তুলে বাজারে বিক্রি করে রোপা আমণ চাষের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু এ অসময়ের বৃষ্টি দুঃচিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। লাভ তো দূরের কথা পুঁজি ঘরে তোলাই অস্বাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে। তাই তিনি বলেন, ক্ষতি গ্রস্থ কৃষকদের জন্য সরকারি কৃষি প্রণোদনার ব্যবস্থা করলে কৃষকরা চলতি মৌসুমের ব্যুরো চাষে লক্ষ্যমার্ত্রা অর্জন করতে পারবে।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মুজাহিদ সরকার বলেন, এক দিনের বৃষ্টিতে এলাকার অনেক নিচু জমিতে পানি জমেছে। জমির পানি নিষ্কাশন করা হলে ক্ষতির সম্ভবনা কিছুটা কম হবে।