নিজস্ব প্রতিবেদক, অনুসন্ধানবার্তা: ধুনট
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মাদক ও জুয়ার টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে আরিফুর ইসলাম হিটলু (৪০) নামে ৮টি মামলার এক আসামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। হত্যাকান্ডের ১২ ঘন্টা পর রবিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে কবরস্থানের পুরাতন একটি কবর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আরিফুর ইসলাম হিটলু ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।
এদিকে শনিবার রাতে হিটলুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে এমন সংবাদ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি কোথাও তার কোন খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। এই সংবাদ পেয়ে ধুনট থানা পুলিশ মধ্যরাত পর্যন্ত হিটলুর খোঁজ করেও তার কোন সন্ধান পায়নি।
রবিবার সকালে ধুনট উপজেলার পাশ^বর্ত্তী শাজাহানপুর উপজেলার ক্ষুদ্রফুলকোট উত্তরপাড়া গ্রামের বটতলা কবরস্থানে রক্তের দাগ ও একজনের পা বের হয়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেয়। পরে রবিবার সকালে পুলিশ ওই কবর থেকে হিটলুর মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, বগুড়ার ধুনট ও শাজাহানপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রামে দীর্ঘ বছর ধরে জুয়ার আসর চালিয়ে আসছিলেন বেড়েরবাড়ি গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে আরিফুর ইসলাম হিটলু। শনিবার সন্ধ্যায় শাজাহানপুর উপজেলার খালপার বিজ্রের উত্তরপাশে আবারো জুয়ার আসর বসায় হিটলু। জুয়ার আসরের পাশেই মাদক সেবন করছিলো সে। এসময় মাদক ও জুয়ার টাকা নিয়ে সহযোগি আব্দুল মালেকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে হিটলু। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়ার একটি হাসপাতালে প্রেরন করে। আহত অব্দুল মালেক ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনার পর হিটলু ওই স্থান ত্যাগ করে ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে গিয়ে আবারো মাদকসেবন করতে থাকে। এসময় প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ নিয়ে চলে যায়। রবিবার সকালে শাজাহানপুর উপজেলার ক্ষুদ্রফুলকোট উত্তরপাড়া গ্রামের বটতলা কবরস্থান থেকে হিটলুর মরদেহ উদ্ধার করে ধুনট থানা পুলিশ।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, হিটলুর বিরুদ্ধে ধুনট থানাসহ বিভিন্ন থানায় জুয়া, মাদক, মারমারি ও পুলিশের ওপর হামলার মামলা সহ ৮টিরও অধিক মামলা মামলা আছে। এছাড়াও গ্রামের সাধারণ মানুষদের হয়রানী সহ ভয়ভীতি দেখাতো। তাকে একাধিকবার গ্রেফতার করা হলেও জামিনে বের হয়ে এসে সে আবারো অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরো বলেন, তাই ধারনা করা হচ্ছে হিটলুর প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়েই তাকে হত্যার পর লাশ কবরস্থানে পুতে রাখে। পরে সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার ময়না তদন্তের মর্গে পাঠানো হয়েছে।