সাজু মিয়া, শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
ঢাকার দর্জি শ্রমিক ব্লাগার বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আলাউদ্দিনকে (৩৫) বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি বগুড়ার শিবগঞ্জে শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করতে এসেছিলো। ২০১২ সালে বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকান্ডের পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি।
শুক্রবার ভোর রাতে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ মোকামতলা বাজার সংলগ্ন শ্বশুরবাড়ি থেকে আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আলাউদ্দিন পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ছোট ধাপ গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি দীপক কুমার দাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর রাতে মোকামতলায় তার শ্বশুর কাজী নুরুল ইসলামের বাড়ি থেকে আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো জানান, শ্বশুরবাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে গত বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাতে স্ত্রীসহ বেড়াতে আসেন আলাউদ্দিন। হত্যাকান্ডের পর থেকেই আত্মগোপন করে তিনি কক্সবাজারের টেকনাফে একটি বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) কর্মরত ছিলেন।
শুক্রবার রাতে তার সেই কর্মস্থলে ফেরার কথা ছিলো। তার স্ত্রী নাহিদ ফেরদৌস টেকনাফে একটি বিদেশি সাহায্য সংস্থায় চাকরি করেন। সেখানেই আলাউদ্দিনের সঙ্গে পরিচয় হলে ২০১৬ সালে তারা বিয়ে করেন। এর আগে আলাউদ্দিন গাজীপুরে একটি পোল্ট্রি ফার্মে চাকরি করতেন।
পুলিশ জানায়, আলাউদ্দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতেন এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১২ সালে আলাউদ্দিন ওই বিশ্বিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে দর্জি শ্রমিক বিশ্বজিৎ দাসকে (২২) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিশ্বজিতের ভাই উত্তম দাস ঢাকার সুত্রাপুর থানায় মামলা করেন। আলাউদ্দিন ওই মামলায় এজাহারনামীয় ৪নং আসামী ছিলেন।