ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনট উপজেলার ইজতেমা ময়দানে হাজারো মুসল্লির অংশগ্রহনে সর্ববৃহৎ জুম্মার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরআগে শুক্রবার বাদ ফজর বগুড়ার সুত্রাপুর মারকাজ মসজিদের খতিব মুফতি মশিউর রহমানের বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনের এই ইজতেমার অনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) ইজতেমায় জুম্মার নামাজের ইমামতি করেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মুকিম মাওলানা মুফতি মাহবুব সাহেব। নামাজ শেষে হেদায়েতের বয়ান পেশ করেন বগুড়ার সুত্রাপুর মারকাজ মসজিদের খতিব মুফতি মশিউর রহমান। এছাড়া বাদ আসর কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি মাওলানা আব্দুর রহিম ও বাদ মাগরিব মাওলানা আব্দুল মতিন সাহেব বয়ান করেন।

আরো পড়ুন- কবি সরোজ দেবের উপর হামলার প্রতিবাদে বগুড়ায় মানববন্ধন

ইজতেমার আয়োজক কমিটির সুরা সদস্য ও ধুনট দারুল উলুম ক্বওমী মাদ্রাসা মসজিদের খতিব মুফতি খোরশেদ আলম জানান, ঢাকার কাকরাইল মসজিদের তত্বাবধায়নে বগুড়ার সুত্রাপুর মার্কাস মসজিদের সহযোগিতায় ধুনট পৌর এলাকার পূর্বভরনশাহী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের ফসলী মাঠে ৩য় বারের মতো এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, ইজতেমা শুরুর এক দিন আগে থেকেই বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসলিগণ ইজতেমায় সমাবেত হয়েছেন। ইজতেমায় মুসল্লিরা তিন দিন অবস্থান করে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি ও কোরআনের আলোকে নবী রসূলের হেদায়েতের বয়ান শুনবেন। রবিবার আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এই ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে। ইজতেমা শেষে মুসল্লিগণ পৃথক পৃথক জামাত বন্দি হয়ে দ্বীন ও ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেরিয়ে পড়বেন।

ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য ধুনট পৌর মেয়র এজিএম বাদশা বলেন, ইজতেমায় মুসল্লিগণের থাকার সু-ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবী মুসল্লিরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ইজতেমায় মুসল্লিদের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।