ধুনটে আ’লীগের সভাপতি ও নৌকা মার্কার প্রার্থী সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা :
বগুড়ার ধুনট উপজেলার নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের এক সভাপতি সহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে ধুনট থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়।

মামলা ও স্থানীয়সূত্রে জানাযায়, গত ২৮ নভেম্বর গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রাথী শামছুল বারী শেখ তার বাড়ির পাশ^বর্তী জোড়খালি মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্র দখল করে জোরপূর্বক ব্যালট পেপারে সীল মারতে থাকে।

তখন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহ ঘোড়া মার্কার প্রার্থী মাসুদুল হক বাচ্চু বিষয়টি প্রতিবাদ করলে নৌকা মার্কার প্রার্থী সহ তাদের লোকজন হামলা চালিয়ে তার তার মাথা ফেটে দেয়। এঘটনায় আরো ১৫/২০ জন আহত হয়।

পরে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুদুল হক বাচ্চু ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এঘটনায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাসুদুল হক বাচ্চুর ছেলে সবুজ মিয়া বাদী হয়ে ওই ইউনিয়নের পরাজিত নৌকা মার্কার প্রার্থী শামছুল বারী সহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেন।

অপরদিকে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ায় ধুনট উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকনের ভাই শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে (৪৫) মারধর করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলেফ বাদশা।

এঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে চিকাশী ইউনিয়নে দুই গ্রুপের শত শত লোকজন লাঠি-শোডা, ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত অবস্থায় রূপ নেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরবর্তীতে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নিজের মেয়ের জামাইকে ভোটে দাঁড় করিয়ে দেওয়ায় অভিযোগে চিকাশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির পদ থেকে আলেফ বাদশাকে বহিস্কার করা হয়।

এদিকে হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ধুনট উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন বাদী হয়ে চিকাশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদ্য বহিস্কৃত সভাপতি আলেফ বাদশা সহ ৮জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৫/৭জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের দায়ের করেন।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, নির্বাচন পরবর্তী সহিংস ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।