বগুড়ায় দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত মহাস্থানগড়

সাজু মিয়া, শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি : অনুসন্ধানবার্তা
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা একটি প্রত্নতত্ত্ব সমৃদ্ধ এলাকা। এই এলাকায় রয়েছে ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়, ভাসুবিহার, বৌদ্ধ মঠসহ নানা দর্শনীয় স্থান।

পবিত্র ঈদের দিনে ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ের জাদুঘর, পরশুরামের রাজপ্রাসাদ, জাহাজ ঘাটা, গোবিন্দ ভিটা, মহাস্থান বন্দর সংলগ্ন হযরত শাহ সুলতান বলখী (র:) এর মাজার শরীফ ও ভাসুবিহারের প্রত্নতত্ত্ব এলাকার বৌদ্ধ বিহারে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের ঢল।

দীর্ঘদিন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এই পর্যটন এলাকায় পর্যটকের আগমন ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছিল। এবার ঈদে সরকারি বিধিনিষেধ শিথিল করায় পর্যটকের আগমণে মুখরিত ছিলো মহাস্থানগড় এলাকা সহ ভাসুবিহার নরপতির ধাপ এবং বিউটী পার্ক এন্ড রিসোর্ট।

ঈদে ৮দিনের সরকারি ছুটি থাকায় মহাস্থানগড় এলাকায় দর্শনার্থীদের ব্যাপক সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই লক্ষে মহাস্থান প্রত্নতত্ত্ব এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এতে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে পর্যটকরা।

গোবিন্দগঞ্জ থেকে স্ব-পরিবারে ঘুরতে আসা আলার উদ্দিন বলেন, করোনায় সারা দেশ স্থবির হয়ে হয়েছিল। বিধি নিষেধ উঠে যাওয়ায় মুক্তভাবে ঘুরতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

আর এক পর্যটক মহিমা আক্তার বলেন, ছোট্ট ছোট্ট সন্তানদের ঘুরতে নিয়ে এসেছি। তারা মুক্ত পরিবেশে ছোটাছুটি করছে। আমার খুব ভাল গাছছে। এতে তাদের মানসিক স্বাস্থের বিকাশ ঘটবে। দীর্ঘদিন যাবৎ করোনার কারণে ঘর বন্দি অবস্থায় ছিলাম।

পর্যটক নাফিউল বলেন, আজ প্রায় ৫হাজার পর্যটকের আগমন ঘটেছিলো মহাস্থানগড়ে। একই তথ্য মিলেছে মহাস্থানগড়ের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের নিকট থেকে।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম সম্পা বলেন, মহাস্থানগড়ের সার্বিক পবিবেশ সন্তোষজনক। পর্যটকরা নির্বিঘ্নে ঘোরাঘুরি করতে পারছে।