নিজস্ব প্রতিবেদক, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনটে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে একত্রে সংসার করলেও শ্বশুর ও তার পরিবারের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রী ফেরতের দাবিতে আদালতে মামলা করেছে জামাই। এদিকে জামাইয়ের এই হয়রানীমুলক মামলায় ভোগান্তিতে পড়েছে শ্বশুর ও তার পরিবারের ৬ সদস্যকে।
মামলা ও স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, গোপালনগর ইউনিয়নের বাঁশপাতা এলাকার আব্দুর রহমান মেয়ে রঞ্জনা খাতুনকে ২০১৪ সালে চকমেহেদী গ্রামে বিয়ে দেন। রঞ্জনা খাতুনের ৬ বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। জীবিকার তাগিদে রঞ্জনা খাতুন ও তার স্বামী ঢাকার একটি গার্মেন্টেসে চাকুরি করতো।
এদিকে ঢাকায় থাকার সুবাদে বানিয়াগাঁতি নোয়াপাড়া এলাকার মৃত আবু বকর ছিদ্দিকের ছেলে বাবুল আক্তার তার সঙ্গে পরোকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে দুই সন্তানের জনক বাবুল আকতার তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে রঞ্জনাকে গত ১৮ জুন ঢাকার গাজিপুর কোর্টে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে পালিয়ে থাকেন।
আরো পড়ুন- ধুনটে ৫১তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত
এই সংবাদ পেয়ে রঞ্জনার বাবা আব্দুর রহমান ও তার ভাই মজনু শেখ অনেক খোঁজাখুজির পর তাকে নিয়ে বাড়িতে আসেন। পরবর্তীতে স্থানীয় মাতব্বরা রঞ্জনা ও বাবুল আকতারকে গ্রাামে আপোষে আবারো বিয়ে পড়িয়ে দেন। কিন্তু বর্তমানে তারা একত্রে সংসার করলেও গত ১৬ অক্টোবর বাবুল আক্তার বাদী হয়ে তার শ^শুর আব্দুর রহমান, তার ছেলে মজনু সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বগুড়ার আদালতে স্ত্রী ফেরতের দাবিতে মামলা দায়েরে করেছেন।
এবিষয়ে বাবুল আক্তারের মা লাইলী বেগম জানান, তার ছেলে ও বউ বাড়িতে নেই।
তবে এবিষয়ে রঞ্জনা খাতুনের ভাই মজনু শেখ বলেন, তারা স্বামী-স্ত্রী একত্রে সংসার করলেও তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানীমুলক মামলা দায়ের করেছে। এতে তার বৃদ্ধ বাবাসহ পরিবারের সবাইকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। তাই এই মিথ্যা মামলা থেকে তাদেরকে অব্যাহিত দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।