ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
অধিক লাভের কারনে বারোমাসি আম চাষে ঝুঁকে পড়ছে বগুড়ার আম চাষিরা। অসময়ের এই আমের কেজি ৫শ টাকা হলেও কিনতে ভীড় জমাচ্ছে ক্রেতারা।
জানাযায়, বগুড়ার ধুনট, গাবতলী, শাহজানপুর ও শেরপুর সহ প্রায় ১২টি উপজেলায় বারী-১১, কাটিমন, সুইট কাটিমন জাতের বারোমাসী আম চাষ দিন দিন বেড়েই চলছে। এছাড়া ব্যক্তি পর্যায়েও এসব আম চাষে আগ্রহী হয়ে পড়েছে অনেকই।
ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ি গ্রামের আম চাষী চাঁন মিয়া জানান, তিন জাতের ২০০টি আম রোপন করেছেন। তার আম বাগানের গাছে গাছে আম ঝুলছে। কিছু আম বাহিরে ঝুলছে, আবার কোন আম কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে রেখেছেন চাঁন মিয়া। বছরের সব সময় গাছে আম শোভা পাওয়ায় এটাকে বারোমাসী আমও বলে থাকেন অনেকে।
আরো পড়ুন- বগুড়ায় পিস্তল ও ইয়াবাসহ সন্ত্রাসী হাড়ী জুয়েল গ্রেপ্তার
চাঁন মিয়া আরো জানান, তার বাগানের আম পাকা শুরু হয়েছে। ৫শত টাকা কেজি দরে আম বিক্রি করছেন। প্রতিটি গাছে ১০ কেজি আম পাওয়া যায় এবং মুকুল আসার পর চার মাসে আম পাকা শুরু হয় বলেও জানান তিনি।
শেরপুরের খামারকান্দি গ্রামের কৃষক জহরুল ইসলাম, তিনি চারটি আম গাছ লাগিয়েছেন। আমগুলো কাঁচাও মিষ্টি। অনেকেই তাই কাঁচা মিঠা আম বলে থাকেন। এছাড়াও এই আম অন্যজাতের আমের চেয়ে মিষ্টি ও সুসাধু।
বগুড়া কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক ‘অনুসন্ধানবার্তা’কে জানান, আমগুলো থাইল্যান্ডের জাত। সরকারী পর্যায়ে প্রথমে এই গাছের চারা আমদানি করা হয়। পরে দেশেই হর্টিকালচারে এখন চারা উৎপাদক করা হচ্ছে। এছাড়াও ব্যক্তি পর্যায়েও চারা তৈরি করছে অনেকেই।
তিনি আরো জানান, শুধু এই জাতের আমের বাগান নয়, ব্যক্তি পর্যায়ে লোকজন বাড়ী বা অঙ্গিনায় এই জাতের আমগাছ রোপন করছেন। চারা রোপনের এক বছর পর থেকেই আম ধরতে থাকে। বছরে তিনবার আম ধরে এসব গাছে। আম গাছের উচ্চতার উপর ফলন নির্ভর করে। তবে প্রথম বছরেই ১০ থেকে ১২ কেজি আম প্রতিটি গাছে হয়ে থাকে।