অনুসন্ধানবার্তা ডেস্ক:
তুরস্ক ও সিরিয়ায় সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গত এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে শতশত মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৭১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এটি দেশটির বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ও সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশে মৃতের মোট সংখ্যা।
রয়টার্স এক খবরে জানিয়েছে, ৬ ফেব্রুয়ারির এ ভূমিকম্প ৩৭ হাজার ৩৫৭টি মৃত্যু নিয়ে চলতি শতাব্দীর ষষ্ঠ প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়ে উঠছে। এর আগে ২০০৫ সালে পাকিস্তানে হওয়া ভূমিকম্প যেটিতে ৭৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথ জানিয়েছেন, উদ্ধার অভিযান পর্বের ‘সমাপ্তি ঘনিয়ে আসছে’। এখন আশ্রয়, খাবার ও স্কুলগুলো চালু করার দিকে তাদের মনোযোগ নিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, তুরস্ক থেকে জাতিসংঘের আরও ত্রাণ সিরিয়ায় প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।
গত ৬ ফেব্রয়ারি সকালে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক এবং সিরিয়া। তার পর অন্তত ১০০ বার জোরালো আফটার শকে কাঁপে দুই দেশের মাটি। এতে গুঁড়িয়ে যায় দুই দেশের হাজার হাজার হাসপাতাল, স্কুল ও অ্যাপার্টমেন্ট ভবন। এতে গৃহহীন হয়ে পড়ে দেশ দুটির লাখ লাখ মানুষ।
অনেকে মনে করছেন আগামী কয়েক দিনে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৫০ হাজারও। তবে ১৯৩৯ সালের পর তুরস্কের সবচেয়ে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্প এটি।