বগুড়ায় নদী ভরাট করায় টিএমএসএসকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

বগুড়া প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার সদরে করতোয়া নদী ভরাট করে সড়ক নির্মাণের দায়ে বেসরকারি সংস্থা ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘকে (টিএমএসএস) ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (২০মার্চ) দুপুরে বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজা পারভীন এই রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে গত শনিবার টিএমএসএস নদী ভরাট করছে এমন অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। ওই সময় নদীর সীমানা দখল করায় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জরিমানা দিতে রাজি থাকার মর্মে মুচলেকা দেন টিএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা।

তবে মুচলেকা অনুযায়ী নদী এলাকায় টিএমএসএসের যাবতীয় কাজ বন্ধ থাকার কথা ছিল। ওই দিনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সোমবার নদীর সীমানা পরিমাপ করেন ইউএনও ফিরোজা পারভীন।

এ সময় করতোয়া নদীর সীমানার মধ্যে ভরাট করে রাস্তা নির্মাণের সত্যতা পান তিনি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। অনাদায়ে টিএমএসএসের সিনিয়র সহকারী পরিচালক নজিবর রহমানকে ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

কিন্তু জরিমানার পরপরই টিএমএসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হট্টগোল সৃষ্টি করেন। তারা আদালতের রায় পরিবর্তণের জন্য ইউএনও ফিরোজা পারভীনকে চাপ দিতে থাকেন।

এবিষয়ে টিএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বলেন, এখানে একটি রাস্তা করা হয়েছে, এটি সাময়িক। এ রাস্তায় স্থানীয় লোকেরা চলাচল করে। এখানে আইন লঙ্ঘন হয়নি। কারা অভিযোগ করেছে, কারা বলেছে এটা আপনার অফিসে বসে দেখা উচিত। আজকে আপনি নদী পরিমাপ করতে আসছেন। যথাযথভাবে পরিমাপ করে দেখেন কোথায় টিএমএসএস নদীর মধ্যে আসছে।

আদালতের জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর ইউএনও ফিরোজা পারভীন বলেন, শনিবার করতোয়া নদী ভরাটের অভিযোগে ঘটনাস্থলে এসেছিলাম। তখন আমি নারী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তারা টিএমএসএসের জন্য কাজ করছেন। আমার কাছে তাদের বক্তব্য রেকর্ড করা আছে।

ইউএনও আরও বলেন, করতোয়া নদীর মাঝ দিয়ে বালু দিয়ে একটি রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে। এ জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ সালের ১৫ ধারায় টিএমএসএসকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছি। অনাদায়ে একজনকে তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।