ধুনটে ঈদের পোশাক তৈরী করতে গিয়ে দর্জির কাছে শ্লীলতাহানীর শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী!

স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনটে ঈদের পোশাক তৈরী করতে গিয়ে দর্জির কাছে শ্লীলতাহানীর শিকার হয়েছে এক মাদ্রাসা ছাত্রী। এঘটনার পর ওই দর্জিকে গণধোলাই দিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে এলাকাবাসী। এদিকে মাদ্রাসা ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ এনে তার বাবা মঙ্গলবার রাতে ওই দর্জিকে আসামী করে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা ও স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের নিমগাছী গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তির মেয়ে পাশ^বর্তী গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি এলাকার একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। গত ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে মেয়েটি তার বাড়ি থেকে নিমগাছী বাজারে একই গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে কামরুল ইসলামের (৪৫) দর্জির দোকানে ঈদের পোশাক তৈরী করতে যায়।

এসময় দর্জি কমরুল ইসলাম পোশাকের মাপ নেওয়ার সময় মেয়েটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানী করে। পরে মেয়েটি তার পরিবারকে ঘটনাটি জানালে স্থানীয় এলাকাবাসী ওই দর্জিকে গণধোলাই দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় দর্জি কামরুল ইসলামকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে বর্তমানে পুলিশের নজরদারিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এবিষয়ে নিমগাছী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা রিপন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের জমি নিয়ে বিরোধের কথা শুনেছিলাম। তাই ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে।

এবিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে এবং আসামী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হলেই তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।