বগুড়া প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
বগুড়া শহীদ চান্দু ক্রিকেট স্টেডিয়াম ভেন্যু পরিবর্তনের প্রতিবাদে কাফনের কাপড় পড়ে অনশন পালন করা সেই যুবক হুমায়ুন আহম্মেদ রুমেল মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বগুড়া শহরের নাটাইপূর্বপাড়া এলাকার নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান।
রুমেল ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত জালালউদ্দিনের ছেলে। তিনি চ্যানেল বগুড়া নামে একটি ফেসবুক পেইজে বিভিন্ন কন্টেন্ট তৈরী করতো। কিছুদিন আগে বগুড়া বিসিবির ভেন্যু হিসেবে বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ফিরিয়ে আনতে দুই দফা বগুড়া শহরের সাতমাথায় কাফনের কাপড় পরে অনশন করে আলোচনায় আসেন তিনি।
প্রতিবেশী সাব্বির আহাম্মেদ জানান, শহরের নাটাইপাড়া এলাকায় মায়ের সাথে থাকতেন রুমেল। তার অন্য তিন ভাই চাকুরির কারণে বগুড়ার বাইরে থাকতেন। রুমেল তার চ্যানেল বগুড়া নামে ফেসবুক আইডিতে গতকাল রাত ১১টা ৪২ মিনিটে লেখেন ‘জীবনের প্রথম স্মৃতি এবং জীবনের শেষ স্মৃতি প্রতিটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’
এছাড়াও গত মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে রুমেল তার একই আইডিতে লেখেন, বগুড়ার বিমানবন্দর চালু করার দাবিতে সিসি ক্যামেরার সামনে আমরণ অনশন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ ঈদ পার হলেই শুরু হবে আন্দোলন।’
রুমেলের বন্ধু রাসেল ইসলাম বলেন, ‘রুমেলের সাথে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে কথা বলি। সে মানসিকভাবে অনেক চিন্তিত ছিল। বগুড়া স্টেডিয়াম ফিরিয়ে আনতে সে অনশন করেছিল। কিন্তু তার সেভাবে কেউ মূল্যায়ন করেনি। তবুও সে বগুড়াবাসীর জন্য ঈদের পর আবারও বিমানবন্দরের জন্য অনশনে বসতে চেয়েছিল। কিন্তু তার আগেই কিভাবে যে কি হয়ে গেল।’
প্রতিবেশী রকি হোসেন বলেন, রুমেল ভাই মাঝে মাঝেই না খেয়ে থাকতো। হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার ভোরে রুমেল ভাইয়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে তার বাাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় রয়েছে। হাত পা ছেড়ে দেয়া। পরে চিকিৎসার জন্য গাড়ী ভাড়া করতে যাই। এসে দেখি রুমেল ভাই মারা গেছে।’
রুমেলের মা বলেন, ‘আমার ছেলের সাথে রাতেই কথা বলেছি। অতিরিক্ত গরমের কারণে রুমেল অসুস্থ ছিল। কিন্তু ভোরেই আমাকে ছেড়ে চলে গেল। আমার পাশে থাকার মত আর কেউ রইলো না।’
