কাজিপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৩৫ হাজার পশু

আবু তৈয়ব সুজয়, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে প্রস্তুত রয়েছে ৩৫ হাজার ৫৩৯টি পশু। বাড়তি লাভের আশায় খামারিদের পাশাপাশি বাড়িতে পশু পালন করেছেন কৃষকরা। উপজেলার চাহিদার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানের চাহিদা পূরণ করবে পশু।

কাজিপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নে কোরবানির জন্য খামার ও বাড়ীতে লালন-পালন করা হয়েছে ১৯ হাজার ৪টি পশু। এর মধ্যে গরু ষাড় ৮ হাজার ৪৩০টি, বলদ ৩ হাজার ৭৯০টি, গাভী ৩ হাজার ২১৫টি। এছাড়া মহিষ রয়েছে ১ হাজার ১০০টি। তাছাড়া ছাগল ১৫ হাজার ৮৮৫টি, ভেড়া ৩ হাজার ১১৯টি।

কাজিপুরে ১ হাজার ৫টি ছোট-বড় খামারি ও কৃষক বিভিন্ন জাতের গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া পালন করেছেন। এসব পশু মোটাতাজাকরণে খামারি ও কৃষকরা যাতে কোনো ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক খাবার ব্যবহার না করেন, সেজন্য প্রচারণা চালানো হয়েছে বলে জানান কাজিপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোঃ দিদারুল আহসান। তিনি জানান, এবছর উপজেলায় ৩ কোটি টাকার পশু কেনাবেচার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়।

কৃষক ও খামারিরা জানিয়েছেন, কেউ বাড়িতে আবার কেউ খামারে এসব পশু মোটাতাজা করছেন। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা সবুজ ঘাস খাইয়ে পশু মোটাতাজা করছেন তারা। খড়ের পাশাপাশি খৈল, ভুসি, ভুট্রার গুঁড়া, ধানের কুঁড়া, মুগের ভুসি, খড় ও বুটের খোসা খাওয়ান অনেকে। উপজেলার ছোট-বড় পশুর খামারে প্রায় ৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এবারের কোরবানির ঈদে এসব পশু বিক্রি করে বাড়তি আয়ের আশা করছেন তারা।

মাইজবাড়ী ইউনিয়নের প্রকৌশলী শাপলু জানান, তার খামারে দেশী-বিদেশী মিলে ১০টি ষাঁড় গরুগুলো মোটাতাজা করা হয়েছে। তার খামারে ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকা দামের পশু আছে।

কাজিপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা মোঃ দিদারুল আহসান বলেন, কোরবানি সামনে রেখে খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ওষুধপত্র দিচ্ছি আমরা। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দুইটি পশুর হাটে পশু বিক্রি হবে। এছাড়া কোরবানির পশু বিক্রির জন্য একটি অস্থায়ী হাট বসানো হয়েছে।