ধুনটে লাথি মেরে গৃহবধুর গর্ভপাত ঘটানোর মামলায় গ্রেফতার ২
বগুড়ার ধুনটে লাথি মেরে এক গৃহবধুর গর্ভপাত ঘটানোর মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী মুন্টু (৬০) ও তার স্ত্রী হাজরা বেগম (৫৫)। -অনুসন্ধানবার্তা

স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনটে এক গৃহবধুর পেটে লাথি মেরে গর্ভপাত ঘটনোর অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারী) ওই গৃহবধুর স্বামী বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- কালেরপাড়া ইউনিয়নের সুলতানহাটা গ্রামের মৃত খাখছার মন্ডলের ছেলে মুন্টু (৬০) ও তার স্ত্রী হাজরা বেগম (৫৫)।

মামলাসূত্রে জানাগেছে, সুলতানহাটা গ্রামের সামছুল হক মন্ডলের ছেলে জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত আব্দুল কুদুসের ছেলে আব্দুল কাশেম (৫২) ও মুন্টুর (৬০) বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জের ধরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আব্দুল কাশেম ও মুন্টু সহ তাদের লোকজন জাহিদুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে গালাগালি করতে থাকে। তখন জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ববিতা খাতুন তাদেরকে গালাগালি করতে নিষেধ করলে মুন্টু তাকে পেটে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়।

এরপর মুন্টু ও আব্দুল কাশেম সহ তাদের লোকজন কিলঘুষি মেরে তাকে আহত করে চলে যায়। প্রতিপক্ষের মারপিটে ববিতা খাতুনের ৭ সপ্তাহ বয়সের বাচ্চার গর্ভপাত ঘটে। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

এঘটনায় বুধবার গৃহবধু ববিতা খাতুনের স্বামী জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে একই গ্রামের আব্দুল কাশেম, মুন্টু ও তার স্ত্রী হাজরা বেগম সহ ৭ জনকে আসামী করে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেন।

এবিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈকত হাসান বলেন, এক গৃহবধুকে মারপিটে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় এজাহারভুক্ত ২ ও ৩ নং আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।