বগুড়ায় শিশু হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ায় শিশু বুলবুল হত্যা মামলায় সুজন সরকার নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে আরো ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রবিবার বিকাল ৪টার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক হাবিবা মন্ডল রায় এই ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী সুজন সরকার বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার লক্ষীকোলা এলাকার জাফর সরকারের ছেলে। তিনি পেশায় ট্রাকের হেলপার ছিলেন। আদালতে রায় ঘোষণার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাছিমুল করিম হলি জানান, ২০২২ সালের ১১ অক্টোবার সকালে শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের লক্ষিকোলা গ্রামের একটি ইটভাটা থেকে গলায়, হাতে ও পায়ে রগ কাটা অবস্থায় বুলবুল হোসেন বিজয় নামে এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত বিজয় মাদলা ইউনিয়নের লক্ষিকোলা কাজিপাড়া গ্রামের ভ্যান চালক সাইদুল ইসলামের ছেলে। সে লক্ষিকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। ২০২২ সালের ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিজয় তার প্রতিবেশী সুজনের বাড়িতে আসে। সেখান থেকে তারা দুজন ফুটবল খেলার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। পথিমধ্যে বিজয় কোন কারণে সুজনকে মা তুলে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালি দেয়। এসময় সুজন ক্ষিপ্ত হয়ে বিজয়ের ঘাড়ের পিছন দিক থেকে স্বজোরে চেপে ধরে।

একপর্যায়ে বিজয় অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে সুজন ভয়ে তাকে টেনে বাঁশঝাড়ের মধ্যে লুকিয়ে রেখে বাড়িতে চলে যায়। বিকেলের দিকে বিজয়কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মাইকিং করতে দেখে ভয় পেয়ে যায় সুজন। রাত ৯টার দিকে সুজন বাঁশঝাড়ে গিয়ে বিজয়কে যেভাবে রেখে এসেছিল সেভাবে পড়ে থাকতে দেখে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য পুনরায় বাড়ি গিয়ে ধারালো চাকু এনে বিজয়ের দুই হাত-পায়ের রগ ও গলা কেটে ফেলে এবং লাশ গুম করার জন্য শাজাহানপুর উপজেলার এসএএম নামে একটি পুরাতন ইটভাটার চুল্লির ভিতর লুকিয়ে রাখে। এরপর ইটভাটা থেকে দুর্গন্ধ পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠায়।