মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা : মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে এক বিবাহিত যুবক ও এক গৃহবধুকে আটকে রেখে নির্যাতনসহ অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার কুসুমপুর গ্রামের চুন্নু মিয়ার বসতবাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত সোমবার শ্রীনগর উপজেলার বৌ বাজার এলাকার পল্লী বিদ্যুতের সার্ভিস ম্যান ও সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলী এলাকার এক গৃহবধূ পরকীয়া সম্পর্কের সূত্র ধরে অবৈধভাবে মেলামেশার জন্য পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারী শ্যামলের মাধ্যমে উপজেলার কুসুমপুর গ্রামের চুন্নুর বসত ঘরে যায়। তখন চুন্নুর প্রতিবেশী রাতুল নামে এক ব্যক্তি লোকজন নিয়ে প্রেমিক যুগলকে আটকে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। এরপর তারা ঘটনাটি ফাঁস করে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করে।
প্রেমিক যুবক নগদ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে রাতুলের নেতৃত্বে ফকির, সজল, নয়ন ও নিরবসহ আরো বেশ কয়েকজন মিলে তার মোটরসাইকেলটি মেহেদী নামে এক যুবকের অটো-রিকশার গ্যারেজে জিম্মায় রেখে পরদিন মঙ্গলবার সকালে ১৮ হাজার টাকার বিনিময়ে মোটরসাইকেলটি প্রেমিক যুবককে ফিরিয়ে দেয়।
আরো পড়ুন- ধুনটে ইজতেমা শুরু, মুসল্লিদের ঢল
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী প্রেমিক যুবক অভিযোগ করে বলেন, আমি ভুল করেছি। তারা আমাকে ওই মেয়েসহ আটকে মারধর করে আমার কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবী করে। আমি নগদ টাকা দিতে না পারায় তারা আমার মোটরসাইকেল গ্যারেজে আটকে রাখে।
পরদিন মেহেদী, রাতুল ও ফকিরসহ তাদের লোকজনকে ১৮ হাজার টাকা দিলে তারা আমার মোটরসাইকেল ফিরিয়ে দেয়। আমি অন্যায় করে থাকলে আইনের মাধ্যমে সাজা দিলে আমি মাথা পেতে নিতাম। তারা আমাকে ভয় দেখিয়ে জোর করে আমার কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে। আমি আমার টাকা ফিরত চাই। এ ব্যপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করবো।
তবে এবিষয়ে অভিযুক্ত রাতুল বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি সেদিন ঢাকায় ছিলাম।
এব্যপারে ইছাপুরা ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সৈয়দ আহসান কবীর শিশির বলেন, ঘটনাটি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। যদি কেউ অন্যায় করে থাকে তাহলে আইনের মাধ্যমে তাদের বিচার হবে।