ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনট উপজেলার যমুনা নদীতে বালু উত্তোলন কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না। যার কারনে এই উপজেলার যমুনা নদীর দুটি চরাঞ্চল এখন প্রায় বিলুপ্তই হয়ে গেছে। অবশিষ্ট কিছু অংশ থাকলে সেখানে এখনও চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনের ধ্বংসজজ্ঞ।
তবে প্রশাসন অনেক বার বালু উত্তোলনকারীদের গ্রেপ্তার করে জেল জরিমানা করলেও তারা আবারও একইভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এদিকে শুক্রবার সংবাদ পেয়ে রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন ধুনটের ইউএনও সঞ্জয় কুমার মহন্ত। কিন্তু অভিযানের সংবাদ পেয়ে আগেই ড্রেজার মেশিন নিয়ে জামালপুরের সরিষাবাড়ির দিকে সটকে পড়েন বালু দস্যুরা।
ধুনট উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা সোলেমান আলী ও বাঁধে আশ্রিত চাঁন মিয়া জানান, তাদের পৈত্রিক ভিটা ছিল বৈশাখীর চরে। কিন্তু বালু দস্যুরা তাদের পৈত্রিক জমি-জমা ধ্বংস করে দিয়েছেন।
তারা আরো জানান, এক সময় বৈশাখী চরে প্রায় ২০০ পরিবার বসবাস করতো। শতাধিক হেক্টর জমিতে কৃষকেরা বিভিন্ন ফসল ফলাতো। কিন্তু বালু উত্তোলনের কারনে ওই চর এখন প্রায় বিলুপ্তু গেয়ে গেছে।
তবে স্থানীয় বাসিন্দরা বলেন, যেহেতু বালুর ড্রেজার মেশিন অবৈধ, সেহেতু আমরা ধুনট উপজেলার কোন ঘাটেই দিনের বেলায় এই নৌকা ড্রেজার মেশিন বেধে রাখতে দিব না। তাহলে এই অবৈধ বালু দস্যুদের দৌড়াত্ব আর থাকবে না। কারন প্রতিদিন গভীর রাতে যমুনা নদী পাহারা দেয়া কারোই সম্ভব নয়।
আরো পড়ুন- ধুনটে মেয়ের অপহরণ মামলা তুলে নিতে বাবাকে প্রাণনাশের হুমকি!
স্থানীয় বাসিন্দরা আরো বলেন, বালু দস্যুরা সারারাত বালু ব্যবসা করে প্রকাশ্যেই ধুনটের শহড়াবাড়ি, শিমুলবাড়ি, ভান্ডারবাড়ি যমুনা নদীর ঘাটে দিনের বেলায় ৩০-৪০টি নৌ চালিত ড্রেজার মেশিনগুলো বেধে রাখে। যেহেতু ড্রেজার মেশিনগুলো অবৈধ, সেহেতু ঘাটে বেধে রাখা অবৈধ নৌ ডেজ্রার মেশিনগুলো জব্দ অথবা ধ্বংস করতে হবে। এটাই হবে স্থায়ী পদক্ষেপ।
এব্যাপারে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, এই উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করা হয়। গত শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত যমুনা নদীতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু অভিযানের সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক তারা সটকে পরে। এবিষয়ে পরবর্তীতে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।