কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ
ধুনটে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিবাহিত কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা :

বগুড়ার ধুনটে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিবাহিত এক কলেজ ছাত্রীর (২০) সঙ্গে ভাই-বোনের সম্পর্ক গড়ে তুলে নিজ বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে বিপুল হোসেন (২৭) নামে এক পরিবহন শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত বিপুল হোসেন ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের আড়কাটিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার শুকুর আলীর ছেলে।
এঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে তাকে বগুড়ার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি এলাকার জনৈক এক কৃষকের মেয়ে স্থানীয় টেকনিক্যাল কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। গত ২ দুই বছর আগে মেয়েটির সঙ্গে ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী এলাকার এক ব্যক্তির বিয়ে হয়। স্বামী পোশাক শ্রমিকের কাজ করার সুবাদে মেয়েটি ঢাকাতে বসবাস করে।

গত ১০ জুন মেয়েটি ঢাকা থেকে শেরপুরে তার বাবার বাড়িতে আসার পথে গাড়িতেই পরিচয় হয় হেলপার বিপুল হোসেনের। এরপর মেয়েটিকে নিজের বোন বানিয়ে তার ফোন নম্বর নেয় বিপুল। এরপর তাদের দুই জনের মধ্যে ভাই-বোনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

গত ১৫ জুন বিপুল ওই মেয়েটি ফোন করে ধুনটে আড়কাটিয়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে আসতে দাওয়াত দেয়। তারা দু’জন সারাদিন ধুনট বাজারে একসঙ্গে ঘোরাফেরা শেষে বিপুল ওই মেয়েটিকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর বিপুল ওই মেয়েটিকে ঘরে আটকে রেখে জেরপূর্বক ধর্ষন করে। এসময় মেয়েটির চিকিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে এবং ধর্ষক বিপুল হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

এঘটনায় সোমবার রাতে ওই মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে বিপুল হোসেনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধুনট থানার এসআই আব্দুস সালাম জানান, প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মেয়েটির সঙ্গে ভাই-বোনের সম্পর্ক গড়ে তোলে বিপুল। এরপর তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটির জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর তাকে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।