শাহারুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে প্রভাবশালীদের ভয়ে বাড়ী থেকে বের হতে পারছেনা ও স্থানীয় হাসপাতালেও চিকিৎসা নিতে পাচ্ছেন না শহিদুল ইসলাম (৫৫) ও তার ছোট ভাই মহিরুল ইসলাম (৩৫) নামের দুই ভাই। প্রতিপক্ষের লোকজন সন্ত্রাসী কায়দায় হাতপাতালে ঢুকে মারপিট সহ হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয়। গত ৩ জুলাই পলাশবাড়ী হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

মামলার বিবরণ ও ভূক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মহিরুল ইসলামের ১০ বছরের ছেলে রিয়ন এর সঙ্গে লিচুর গাছকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের বিজিবি সদস্য সারোয়াল মিয়ার ৭ বছরের ছেলে আরাফাত ইসলামের কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে বিজিবি সদস্য সারোয়ালের স্ত্রী মদিনা বেগম ও সারোয়ালের ছোট ভাই বিজিবি সদস্য রব্বানীর স্ত্রী রিনা বেগম ও বিজিবি সদস্যের মা শাহিন বেগম একত্রিত হয়ে বাড়ীতে এসে মহিরুল ইসলামের স্ত্রী রিনা বেগমের উপর অতর্কিত হামলা করে। পরে বিষয়টি পারিবারিকভাবে মিমাংসা করা হয়।

পরবর্তীতে ৩ জুলাই সকালে পলাশবাড়ী কাঁচা বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে রাস্তায় অটোভ্যান চালক মহিরুল ইসলাম ও তার বড় ভাই শহিদুল ইসলামকে মিমাংসিত বিষয়কে কেন্দ্র করে বিজিবি সদস্য সারোয়ালের শ্যালক আল আমিন সহ কয়েকজন লোক বেধরক মারপিট করে। মারপিটে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ওই দিন রাতে বিজিবি সদস্য সারোয়ালের শ্যালক আল আমিন সহ ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল হাসপাতালে প্রবেশ করে চিকিৎসাধীন মহিরুল ইসলাম ও তার বড় ভাই শহিদুল ইসলামকে আবারো মারপিট করে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। এসময় তাদের সাথে থাকা চিকিৎসাপত্র ছিঁড়ে ফেলে এবং দুটি মুঠোফোন সহ নগদ টাকা ছিনতাই করে নেওয়া হয়।

এরপর গত ৪ জুলাই রাতে তহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বিজিবি সদস্য সারোয়াল মিয়া ও তার শ্যালক আল আমিনকে ১নং আসামী এবং বিজিবি সদস্য সারোয়াল মিয়া হুকুমদাতা হিসেবে ৪ জনকে আসামী করে পলাশবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়, যার মামলা নং- ০৪। আসামীরা প্রভাশালী হওয়া মামলা করার পর থেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রাণনাশ সহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করে আসছে বলে ভূক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগি পরিবার গুলো।

জানতে চাইলে পলাশবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মতিউর রহমান বলেন, ১নং আসামী আল আমিনকে গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং বিজিবি সদস্য সারোয়াল মিয়ার বিষয়টি নিয়েও কাজ করছে পুলিশ।