বগুড়ায় শতাধিক ছিন্নমূল মানুষের মুখে হাঁসি ফুটিয়েছে ‘হাসিমুখ’

স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা :
বগুড়ায় প্রজেক্ট ‘হাসিমুখ’ এর আওতায় মাসব্যাপি প্রতিদিন ৬ শতাধিক দুঃস্থ, ছিন্নমূল ও কর্মহীন হয়েপড়া মানুষের মাঝে একবেলা করে উন্নত মানের খাবার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২০ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় শহরের সাতমাথায় খাবার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন হিমিকাস এঞ্জেলস ফর হিউম্যানিটি’র প্রধান উদ্যোক্তা রহমান অবন্তি হিমিকা।

হিমিকাস এঞ্জেলস ফর হিউম্যানিটি ও ফারমাসিউটিক্যাল কোম্পানী ওয়ান ফার্মার যৌথ উদ্যোগে প্রজেক্ট হাসিমুখের যাত্রা শুরু করেছে।

শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে বগুড়া শহরের সাতমাথা, সেউজগাড়ি, রেলওয়ে স্টেশন, মাটিডালী, বিসিক, মালতীনগর, চেলোপাড়া, বনানী সহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৬ শতাধিক দুঃস্থ ছিন্নমূল, কর্মহীন হয়ে পড়া সাধারণ মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
বগুড়ায় শতাধিক ছিন্নমূল মানুষের মুখে  হাঁসি ফুটিয়েছে ‘হাসিমুখ’

দুপুর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই খাবার বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া ম্যাসব্যাপি প্রতিদিন একটি গাড়িতে করে শহরের বিভিন্ন স্থানে খাবার বিতরণ করবে এই সংগঠনটি।

জানা যায়, করোনার প্রভাব মোকাবেলায় দুটি প্রতিষ্ঠান এক হয়ে কাজ করছে প্রজেক্ট হাসিমুখ’র। সমাজের বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগের সাথে এক হয়ে কাজ করছে নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও শিক্ষা নিশ্চিতে। প্রজেক্ট ‘হাসিমুখ’ এর মাধ্যমে তারা যৌথভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতি সপ্তাহে ১ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে প্রোটিন বেইজড খাবার প্রদান এবং স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করছে। ‘হাসিমুখ’ এর লক্ষমাত্রা হল ১০ লক্ষ মানুষের মুখে হাসি ফুটানো।

প্রজেক্ট ‘হাসিমুখ’ এর খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইয়ালিদ বিন রহমান, মোস্তাক আহম্মেদ, মতিউর রহমান, ওয়ান ফার্মা লি: এর কর্মকর্তারা ও হিমিকাস এঞ্জেলস ফর হিউম্যানিটির স্বেচ্ছাসেবকরা।

হিমিকাস এঞ্জেল ফর হিউম্যানিটি এই সংগঠনটি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে যে, জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হলে শিক্ষা এবং কারিগরী প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নাই। এই জন্যে হিমিকাস এ্যাঞ্জেলস ফর হিউম্যানিটি ঐ এলাকায় একটি স্কুল নির্মাণ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ইতিমধ্যে জমি ক্রয় সম্পন্ন করে ফেলেছে তারা। নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে তারা সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে নারীদের কর্মক্ষেত্রের ব্যবস্থা করে থাকে।

আপাতত সকল নারীরা শাড়িতে হাতে সেলাই এর কাজ করে এবং হিমিকাস এ্যাঞ্জেলস ফর হিউম্যানিটি এই সকল শাড়ি বিক্রি করে এর লভ্যাংশ ঐ সকল নারীদের কল্যাণে ব্যবহার করে। বাংলাদেশের যেকোন আগ্রহী সুহৃদ এই সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের সংযোগ স্থাপন করে সমাজ তথা দেশের সার্বিক উন্নয়নে অংশীদার হতে পারেন।

উল্লেখ্য যে, বগুড়া জেলার সোনাতলা এবং সারিয়াকান্দিতে এই সংগঠনটি ইতিমধ্যে প্রতি সপ্তাহে ১০০টি পরিবারকে বিনামূল্যে প্রতি সপ্তাহে গত ১ বছর ধরে প্রোটিন বেইজড খাবার এবং সঠিক স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছে। তাছাড়াও নিজস্ব লোকবল দিয়ে শিশুদের সঠিক যত্ন নেয়া এবং কিভাবে কম খরচে সুষম খাবার প্রস্তুত করা যায় এই ব্যাপারে শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এগুলা ছাড়াও তাদের নিজস্ব স্বাস্থ্যকর্মী প্রতিদিনই চিহ্নিত পরিবারের নিকট গিয়ে উপরোলক্ষিত বিষয়গুলো নিশ্চিত করে থাকে।