ধুনটে চুরি করা মোটরসাইকেল প্রকৃত মালিকের কাছেই বিক্রি করে ধরা পড়লো চক্রটি!

ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনটে চুরি করা মোটরসাইকেলটি আংশিক পরিবর্তন করে সেই প্রকৃত মালিকের কাছেই বিক্রি করে ধরা পড়েছে ‘মোটরসাইকেল চোর’ চক্রটি। সোমবার দুপুরে এই ঘটনায় সাবেক মেম্বারসহ তিন জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলো- ধুনট পূর্বভরনশাহী গ্রামের বেলাল হোসেনের ভাড়াটিয়া খালেকুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম (৫২), বেলকুচি মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত খাদেম আলীর ছেলে সাবেক মেম্বার জামিল উদ্দিন (৫৫) ও বেলকুচি পশ্চিমপাড়া এলাকার শাহ আলম মন্ডলের ছেলে দুলাল রহমান (২২)। আটককৃতদের মধ্যে খালেকুজ্জামান ওরফে আবুল কালামের একাধিক ঠিকানার সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব ঠিকানার মধ্যে নরসিংদীর বাসাইল এলাকা এবং নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ এলাকা। তার বাবার নাম মৃত আব্দুল ওয়াদুদ বলে জানাগেছে।

থানাসূত্রে জানাগেছে, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কবাজ উদ্দিনের ছেলে মাহবুব রহমান ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের বিশ্বহরিগাছা এলাকার ব্রাক ব্যাংকের মাঠকর্মী হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে অফিসের সামনে ডিসকভার মোটরসাইকেল রেখে দাপ্তরিক কাজ করছিলেন। কাজ শেষে ফিরে দেখেন তার মোটরসাইকেলটি সেখানে আর নেই। তখন তিনি ধুনট থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে মোটরসাইকেল চুরি হওয়ার পর থেকেই একটি পুরাতন ডিসকভার মোটরসাইকেল কেনার জন্য সন্ধান করতে থাকেন এনজিও কর্মী মাহবুব রহমান। একপর্যায়ে গত ৭ দিন আগে ধুনট বাসষ্ট্যান্ড এলাকার দুই ভাই মটরস এর মালিক আটককৃত দুলাল রহমানের কাছ থেকে একটি পুরাতন ডিসকভার মোটরসাইকেল কিনে নেন।

আরো পড়ুন- বগুড়ায় বাসের ধাক্কায় কলেজ ছাত্র নিহত

কিন্তু তখনও তিনি জানতেন না যে, এই মোটরসাইলটি তার নিজেরই। দোকানদার তার চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটিকে একটি ভুয়া নাম্বার প্লেট, দুটি চাকা ও হেডলাইট পরিবর্তন করে। একারনে তিনি প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরবর্তীতে তার মোটরসাইকেলের পিছনের শকআপনের সাথে বাধা একটি সুতা দেখে তার মনে সন্দেহ হয়। তখন তিনি হারিয়ে যাওয়া মোটরসাইকেলের কাগজপত্র বের করে ইঞ্জিন নাম্বার ও চ্যাসিজ নাম্বার মিলিয়ে দেখে নিশ্চিত হন এটা তার নিজেরই মোটরসাইকেল। পরে তিনি পুলিশকে খবর দেন।

নিয়মিত বিশেষ ভিডিও প্রতিবেদন দেখতে ‘অনুসন্ধানবার্তা’ ইউটিউব চ্যানেলটি সাবক্রাইব করুন-

এব্যাপারে ধুনট থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আসাদুজ্জামান জানান, চোর চক্রের তিন জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের পর আটককৃত আসামীদের বগুড়ার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া আটককৃতদের জবানবন্দি অনুযায়ি এই সব মোটরসাইকেল চোর চক্রের অন্য সদস্যদেরও আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।