ধুনটে সেচ পাম্পের ড্রেন বন্ধ করে দেওয়ায় পানির অভাবে চাষাবাদ ব্যাহত

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
বগুড়ার ধুনটে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা সেচ পাম্পের ড্রেন বন্ধ করে দেওয়ায় পানির অভাবে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। এতে প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছেন কৃষকেরা।

এবিষয়ে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের নাটাবাড়ী গ্রামের ছকিম উদ্দিনের ছেলে কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান নান্নু তার প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে সেচ কমিটির সভাপতি ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্তের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সরেজমিন ও অভিযোগসূত্রে জানাগেছে, কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান নান্নু ২০১৬ সালে বৈদ্যুতিক সেচ সংযোগ নিয়ে নাটাবাড়ী মৌজার প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে পানি সেচ দিয়ে আসছে। তবে তার সেচ সংযোগ নেয়ার কিছু দিন পরই একই গ্রামের আলামিন তার পাশেই আরেকটি বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প স্থাপন করেন।

এদিকে সম্প্রতি আলামিন ও তার মামাতো ভাই জয়নাল আবেদীন কৃষি জমিতে পুকুর খনন করছে। তাদের যত্রতত্রভাবে পুকুর খননের কারনে আশপাশের ফসলী জমিতে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। একারনে কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান নান্নু তাদেরকে নিয়ম মেনে পুকুর খনন করতে বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আলামিন ও তার লোকজন।

একপর্যায়ে গত ২৪ জানুয়ারি কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান নান্নুর স্কীমের জমিতে পানি সেচ দেওয়ার সকল ড্রেন বন্ধ করে দেয় তারা। একারনে পানির অভাবে ওই এলাকার প্রায় ৩০ বিঘা ফসলী জমিতে চাষাবাদ করতে পারছে না কষকেরা।

এবিষয়ে ভুক্তভোগি কৃষক বাদশা মিয়া বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পানি সেচের ড্রেন বন্ধ করে দেওয়ায় আমার ৩ বিঘা জমি পতিত পড়ে রয়েছে। এখন ধান রোপনের মৌসুম হলেও পানির অভাবে চাষাবাদ করতে পারছি না। তাই এবিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এবিষয়ে সেচ পাম্পের মালিক কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান নান্নু বলেন, ফসলী জমির মাঝখানে পুকুর খনন করায় আশপাশে ফসলী জমিতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। তাই নিয়ম মেনে পুকুর খনন করতে বলায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পানি সেচের সকল ড্রেন বন্ধ করে দিয়েছে। তাই পানির অভাবে প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। একারনে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

তবে বিষয়ে অভিযুক্ত শাহ আলমের বক্তব্য নিতে মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এব্যাপারে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, কৃষকের অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদক দাখিল করলে বিএডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশল কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।