জয়পুরহাটে বেগুনি ফুলকপি চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা

সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
জয়পুরহাটে এই প্রথম বেগুনি ফুলকপির বাণিজ্যিক চাষাবাদ শুরু হয়েছে। বাজারে সাধারণ ফুলকপি বা বাঁধাকপির চেয়ে বেগুনি ফুলকপি সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে চাহিদাও অনেক। তাই ভালো দাম পাওয়ায় বেগুনি ফুলকপি চাষাবাদে ঝুঁকছেন কৃষকেরা।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা গুচ্ছগ্রাম এলাকার কৃষক আমেদ আলী ও আজেদা দম্পতি ১৫ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে বেগুনি ফুলকপি চাষ শুরু করেছেন। বেগুনি ফুলকপি দেখতে সাধারণ ফুলকপির মতো হলেও ফুল-ফলের রং বেগুনি। চাষপদ্ধতিও সাধারণ ফুলকপির মতোই। বেগুনি ফুলকপির চাষ নতুন হওয়ায় এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে।

বাজারে চাহিদা থাকায় সাধারণ ফুলকপি থেকে এর দাম ১০-১৫ টাকা বেশি। চারা রোপণ থেকে ৬৫ দিন মেয়াদী ১৫ শতক জমিতে বেগুনি ফুলকপি চাষে ব্যয় হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। প্রথমদিকে এই ফুলকপি ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখনস তা ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা গ্রামের মাসুদ মিয়া, আনোয়ার হোসেন ও তেঘর গ্রামের খোকন আহম্মেদ বলেন, খেতে সুস্বাদু, অধিক গুণসম্পন্ন এই ফুলকপি বাজারে চাহিদা রয়েছে। দামও বেশি পাওয়া যাচ্ছে শুনে দেখতে এসেছি। আমরাও সামনের বছর বেগুনি ফুলকপি চাষ করব।

কৃষক দম্পতি আমেদ আলী ও আজেদা বলেন, ‘বেগুনি ফুলকপি বাজারে নতুন হওয়ায় চাহিদা প্রচুর। ফলে সাধারণ ফুলকপির চেয়ে বেশি দামে গ্রাহকরা কিনছেন। এ ছাড়াও খরচের চেয়ে লাভের পরিমাণও বেশি। তাই সামনের বছর আরও বেশি জমিতে বেগুনি ফুলকপির আবাদ করব।’

স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ফাউন্ডেশনের কৃষি কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন শাহিন জানান, বেগুনি ফুলকপিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের মাত্রা বেশি থাকায় মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মাঝে এর চাষাবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জয়পুরহাট সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: কায়সার ইকবাল বলেন, ‘বিষ মুক্তভাবে এ বেগুনি ফুলকপি চাষ করা হচ্ছে। পোকামাকড় দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে ফেরোমন ফাঁদ। বেগুনি ফুলকপি নতুন হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ বেশি। দামও ভালো পাচ্ছে। তাই এর চাষ সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগ আরও কাজ করবে।’