শেরপুরে স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে রোষানলে পুলিশ ও সার্ভেয়ার

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ধুনট রোড থেকে কাজিপুর পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াই উচ্ছেদ করতে এসে সার্ভেয়ার ও পুলিশের সদস্যরা সাধারণ মানুষের রোষানলে পড়েন। এতে প্রায় ২ ঘন্টা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ থাকে।

পরে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট এসে পুনরায় অভিযান শুরু করেন। এ সময় ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গার স্থাপনা ভাঙ্গা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের অভিযোগ তদন্ত করে ক্ষতিপুরণ দেয়ার আশ^াস দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান।

জানা যায়, শেরপুর ধুনট রোড থেকে কাজিপুর পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত করণের কাজ শুরু হয় কয়েকমাস আগে থেকেই। সেই লক্ষে রাস্তার দুপাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য তাদের সার্ভেয়ার দেলোয়ার হোসেন কয়েক দফা সার্ভে করার পর লাল রং দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে রাখেন।

সেই মোতাবেক কয়েকদিন আগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেন সড়ক বিভাগ।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সময়মত স্থাপনা সরিয়ে না ফেললে ১৪ ডিসেম্বর তা উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে ভেঙ্গে ফেলা হবে। বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক সকাল ৯ টার দিকে স্কেভেটর দিয়ে পুলিশের উপস্থিততে শেরপুরের তালতলা এলাকায় কয়েকটি দোকান সহ বাড়ি ভেঙ্গে দেয় সার্ভেয়ার দেলোয়ার হোসেন।

কিন্তু এ সময় কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলনা। উচ্ছেদের সময় ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গার স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এ সময় স্থানীয়দের রোষানলে পড়েন সার্ভেয়ার দেলোয়ার হোসেন সহ পুলিশের সদস্যরা।

পরে দক্ষতার সাথে শেরপুর থানার এসআই রবিউল ইসলাম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেন এবং পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হয়। প্রায় ২ ঘন্টা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ থাকার পর সড়ক ও জনপথ বিভাগে নিযুক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পরিবেশ শান্ত হয়।

এ ব্যাপারে স্থানীয় আলম ফকির, মামুন, তবিবর রহমানসহ অনেকেই জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সার্ভেয়ারের ৩ দফায় করা সার্ভে মোতাবেক আমরা স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছিলাম। হঠাৎ করেই শ্রমিকদের কাজ করা অবস্থায় স্কেভেটর দিয়ে আমাদের মালিকানাধীন জায়গার উপর নির্মিত ঘর ভেঙ্গে ফেলে এবং অনেক জিনিসপত্র বিনষ্ট করে ফেলে। ভিতরে থাকা শ্রমিকরা কোনমতে জীবন রক্ষা পায়। এব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা এর বিচার দাবি জানাচ্ছি।

তবে এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: কামরুজ্জামান বলেন, যদি মালিকানাধীন জায়গার স্থাপনা ভাঙ্গা হয়ে থাকে তা তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপুরণ দেয়া হবে।