ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানিবন্দি হয়ে পড়ে বগুড়ার ধুনট সরকারি ডিগ্রী কলেজ। এতে ওই কলেজের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীদের দূর্ভোগ পোহাতে হয় নিয়মিতই। সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষার্থীদেরকেও এই দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ধুনট সরকারি ডিগ্রী কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রে।
গতকাল ধুনট সরকারি ডিগ্রী কলেজে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের সামনের মাঠটি বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীরা পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করছেন।
ধুনট সরকারি ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দিতে আসা রোজিনা খাতুন ও সুমি খাতুন জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রটি জলাবদ্ধ অবস্থায় থাকায় অনেক কষ্ট করে পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে হয়েছে। অনেক সময় পিছলে পড়েও অনেকের জামা-কাপড় নোংরা হয়ে গেছে।
ওই কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রী সাদিয়া আকতার জানায়, সামান্য বৃষ্টি হলেই কলেজ মাঠে পানি জমে থাকে। একারনে অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে সরকারি এই কলেজটির মাঠ ভরাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরী করতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছে ওই কলেজের ছাত্রী সাদিয়া ও তারিকুল, মিরাজ ও সুরাইয়া।
এবিষয়ে কলেজের সহকারী অধ্যাপক একেএম ফজলুল হক রঞ্জু বলেন, বৃষ্টি হলেই কলেজ মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। একারনে শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়া সম্প্রতি অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষার্থীরাও একই দূর্ভোগে পড়েছে।
এবিষয়ে ধুনট সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুর রহমান বলেন, কয়েক বছর আগে কলেজটি সরকারিকরণ হয়েছে। পরবর্তীতে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে তিন তলা বিশিষ্ট ধুৃনট ডিগ্রী কলেজ বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মান করা হয়। কিন্তু ভবন নির্মানকালে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না রাখায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানিবন্দি হয়ে পড়ে বগুড়ার ধুনট সরকারি ডিগ্রী কলেজ মাঠ। তবে কলেজটি সরকারিকরণ হওয়ায় টাকা খরচ করতে অনেক বিধি নিষেধ রয়েছে। তাই কলেজের উন্নয়নকল্পে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এব্যাপারে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, কলেজটির উন্নয়নকল্পে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।