শেরপুরে আ’লীগ নেতাকে হত্যার পরও বহাল তবিয়তে ছাত্রলীগ সভাপতি!

শেরপুরে আ’লীগ নেতাকে হত্যার পরও বহাল তবিয়তে ছাত্রলীগ সভাপতি!
শেরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান শুভ (৩৫)।

নিজস্ব প্রতিবেদক, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার শেরপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মর্তুজা কাউসার অভিকে (৩৮) প্রকাশ্যে হত্যার পরও দলীয় পদে বহল তবিয়তে রয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান শুভ (৩৫)।

তবে এই হত্যাকাণ্ডের শিকার নিহতের পরিবার যেমন বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত, তেমনি দলীয় পদে বহাল তবিয়তে থাকায় একই দলের নেতাকর্মীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

জানাগেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা মর্তুজা কাউসার অভিকে প্রকাশ্যে হত্যা করে শেরপুর উপজেলা ছাত্রীলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান শুভ সহ তার লোকজন। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের পর পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের এজাহারভুক্ত ৫ জন আসামীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করে।

তবে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর যুবলীগের ৪ জন নেতাকর্মীকে বহিস্কার করা হলেও এখনও দলীয় পদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন শেরপুর উপজেলা ছাত্রীলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান শুভ।

আরো পড়ুন- শেরপুরে আ’লীগ নেতা অভি হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল, ৪ জন রিমাণ্ডে

তবে অনুসন্ধানে জানাগেছে, বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের এক প্রভাবশালী নেতার আর্শিবাদপুষ্ট নেতা ছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি শুভ। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ একাধিক মামলাও রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের কয়েক প্রভাবশালী নেতা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এই ঘটনায় কয়েক যুবলীগ নেতাকে বহিস্কার করা হলেও এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতা অভি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারিগর ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুর রহমান শুভ।

তবে একই দলের সিনিয়র নেতাকে হত্যার পরও কিভাবে দলীয় পদ নিয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন এবিষয়ে জানতে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাসকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় কেন্দ্রীয় কমিটি এবিষয়ে চুড়ান্ত সিন্ধান্ত নিবেন।

শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, এই হত্যা মামলায় মোট ৫ জন এজাহারভুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং অপর ৪ জন আসামীকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার অন্য আসামীদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।