ধুনটে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় একজন গ্রেফতার

ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় প্রথম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় একজনকে (১৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকাল ৪টায় বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এতথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার।

এরআগে শুক্রবার (৫ মে) রাত ৯টার দিকে এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিন পাশে^র একটি জঙ্গল থেকে শিশু রজনীর মরদেহ উদ্ধার করে ধুনট থানা পুলিশ। নিহত শিশু রজনী আকতার (৮) ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের এলাঙ্গী পশ্চিমপাড়া এলাকার গাজিউর রহমানের মেয়ে এবং সে এলাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। এদিকে গ্রেফতারকৃত আসামীর বয়স বিবেচনায় পুলিশ তার নাম, পরিচয় ও ছবি প্রকাশ করেনি। তবে একাধিকসূত্রে জানাগেছে, গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম রিমন ইসলাম (১৭)। সে একই একই এলাকার ফেরদৌসের ছেলে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকালে শিশু রজনী বাড়ি থেকে বের হয়ে এলাঙ্গী বাজারে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এতে তার বাবা পরদিন শুক্রবার ধুনট থানায় একটি জিডি দায়ের করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা রজনীর মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। এঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশের কয়েকটি দল বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কিশোরকে (১৭) গ্রেফতার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত কিশোর (১৭) জানায় যে, ঘটনার ১০দিন আগে থেকেই সে এবং তার দুই সহযোগি সহ তাদের প্রতিবেশি শিশু রজনীকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। গত ৪ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে রজনী এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাশে আম কুড়াতে যায়। এসময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি গ্রেফতারকৃত কিশোর (১৭) সহ তার দুই সহযোগি শিশু রজনীকে অপহরণ করে স্কুলের পাশের গলিতে নিয়ে নিয়ে মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তারা প্রতিবেশি হওয়ায় রজনী তাদের চিনতে পারে। একারনে তারা প্রথমে রজনীর মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে এবং গলাটিপে হত্যা করে মৃত্যু নিশ্চিত করে তার মরদেহ ঝোপের মধ্যে ফেলে রাখে। এঘটনায় শনিবার গ্রেফতারকৃত কিশোরকে (১৭) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এঘটনায় পলাতক অন্য দুই সহযোগিকেও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।