ধুনটে গরু চুরি করে মাংস বিক্রি

স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এক প্রতিবেশির গরু চুরি করে জবাইয়ের পর মাংস বিক্রিকালে দুই ব্যক্তিকে আটক করা হলেও কোন বাদি না থাকায় অবশেষে তাদেরকে ডাকাতি মামলার অজ্ঞাতনামা আসামী হিসেবে চালান করে দিয়েছে পুলিশ। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে আটককৃতদের ধুনট থানা হাজত থেকে বগুড়ার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলো- ধুনট সদর ইউনিয়নের বেলকুচি গ্রামের আজিবর মন্ডলের ছেলে সুফিয়ান মন্ডল (৩৮) ও কাজীপুরের আলমপুর গ্রামের সূর্য আলীর ছেলে আতাহার আলী (৩৫)।

স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার রাতে বেলকুচি গ্রামের কৃষক নুরু আকন্দের ৬০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গরু চুরি হয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে গরুটি জবাই করে কিছু মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণ করে এবং কিছু মাংস বেলকুচি তেলের পাম্পের সামনে রাস্তার পাশে চৌকি বসিয়ে বক্রি করছিল সুফিয়ান মন্ডল, ভায়রা আতাহার আলী ও দুলাভাই হামজেম। এমন সময় গরুর মালিক ও স্থানীয় শতাধিক লোকজন চোরাই গরুর মাংস বিক্রিকালে হাতেনাতে সুফিয়ান মন্ডল ও আতাহার আলীকে আটক করলেও দুলাভাই হামজেম পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আটককৃতদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে পরবর্তীতে পুলিশ ও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে গরুর মালিক তার অভিযোগটি থানা থেকে তুলে নেন। একারনে ধুনট থানা পুলিশ গরু চুরির অভিযুক্ত আসামীদের গত ১৮ জানুয়ারির দায়েরকৃত উল্লাপাড়া এলাকার একটি ডাকাতি মামলায় ঢুকিয়ে আদালতে চালান করে দিয়েছেন।

তবে এবিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈকত হাসান জানান, গরুর মালিক তার অভিযোগটি তুলে নিয়েছেন। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, তারা ডাকাতির কাজেও সম্পৃত্ত ছিল। একারনে তাদেরকে ডাকাতি মামলার অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামী হিসেবে বুধবার আদালতে চালান করে দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির অনেক প্রমাণ রয়েছে বলেও জানান তিনি।