গাইবান্ধার সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরো ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলল

শাহারুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসের সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম আঃ ছালাম ও ইউডিএ আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে আরোও প্রায় ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

পলাশবাড়ী উপজেলা শিক্ষা সূত্রে জানা গেছে, আবু তালেব ওরফে শাহ আলম সরকারের সুনিদিষ্ট কয়েকটি অভিযোগে বৃহস্পতিবার পলাশবাড়ী শিক্ষা অফিসের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত করেন গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসেন আলী।

তদন্তে সহযোগিতা করেন পলাশবাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাজমা বেগম। এসময় অভিযুক্ত ইউডিএ আব্বাস আলী, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ, বাদী আবু তালেব সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।

তদন্তে সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা অফিসার একেএম আঃ ছালাম ও অত্র অফিসের ইউডিএ আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে বিল ভাউচার ছাড়াই ৬টি বিদ্যালয়ের বিপরীতে ১ লাখ ৫০ হাজার করে টাকা বরাদ্দ দেখিয়ে আরোও ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক তথ্য-প্রমান পেয়েছেন তদন্ত কমিটি। এছাড়া অন্য অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখছেন বলেও তদন্ত কমিটি।

এব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা হোসেন আলী জানান, অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তবে অধিকতর তদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম আঃ ছালামের বিরুদ্ধে অত্র অফিসের ইউডিএ আব্বাস আলী ও সাবেক হিসাব সহকারী আশাদুল ইসলামের সহযোগীতায় গত-২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে প্রায় ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের সুনিদিষ্ট অভিযোগের খবর বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রকাশ হয়।

এছাড়া পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ফেরদাউছ মিয়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ একাধিক দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করলে মহাপরিচালকের নির্দেশে পরিচালক প্রশাসন মিজানুর রহমানের তত্বাবধায়নে উপ-পরিচালক (তদন্ত) মির্জা হাসান খসরুর নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।

অবস্থা বেগতিক দেখে সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা অফিসার আঃ ছালাম আত্মসাতকৃত টাকার মধ্য হতে তদন্তের আগের দিন ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর তড়িঘড়ি করে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে ৯ লাখ ৩০ হাজার ২৫০ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করেন।

এদিকে মির্জা হাসান খসরুর নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি গত ২৪ ডিসেম্বর পলাশবাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসের অভিযোগগুলো তদন্ত করেন।

তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে মহাপরিচালক বরাবর তদন্ত রিপোট পেশ করলে, মহাপরিচালক প্রধান শিক্ষকদের টিএ বিল বাবদ প্রায় ৪ লাখ টাকা আত্মসাতে শিক্ষা অফিসারকে সহযোগিতা করায় হিসাব সহকারী আশাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও শিক্ষা অফিসার একেএম আঃ ছালামকে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় শাস্তিমূলক বদলী করা হয়েছে।