বগুড়ার শিবগঞ্জে অপহরণের ২৩ দিন পর ব্যবসায়ীর গলিত লাশ উদ্ধার
নিহত পান ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন (৪০)। ডানে আটককৃত রুবেল মিয়া (৩৩)। -অনুসন্ধানবার্তা

স্টাফ রিপোর্টার, অনুসন্ধানবার্তা :
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ভাসুবিহার ইউনিয়নের লক্ষীপুর চাঁদপাড়া এলাকার পান ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন (৪০) অপহরণের ২৩ দিন পর তার গলিত লাশ ও হাড়গোড় উদ্ধার করেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আশুলিয়ার মারাগাং নামক এলাকার কাশবনের ভিতর থেকে ওই ব্যবসায়ীর গলিত লাশ ও হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত তিন যুবককে আটক করেছে।

আটককৃতরা হলো- শিবগঞ্জ উপজেলার ভাসুবিহার ইউনিয়নের চানপাড়া এলাকার ফজলার রহমানের ছেলে গ্রেফতারকৃত রুবেল মিয়া (৩৩) একই এলাকার ইসাহাক প্রামানিকের ছেলে মিলন মিয়া (৪৫) ও মৃত অমির উদ্দিনের ছেলে সামাদ (৫০)।

জানাযায়, মোফাজ্জল হোসেন বিভিন্ন জেলা থেকে পান ক্রয় করে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করেন। গত ১৯ আগস্ট সকাল ৮টায় মোফাজ্জল হোসেন পান কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে মোফাজ্জল হোসেনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এরপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে গত ২৩ আগস্ট মোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী রাশেদা বেগম শিবগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন।

নিহত মোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী রাশেদা বেগম জানান, একই গ্রামের রুবেলের সাথে তার স্বামীর ভাল সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তার স্বামী নিখোঁজের পর রুবেলও নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। একারনে রুবেলকে সন্দেহ হলে গ্রামের লোকজন রুবেলের খোঁজ করতে থাকে।

একপর্যায়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর গ্রামের লোকজন তাকে লালমনিরহাট থেকে ধরে নিয়ে এসে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার দায় স্বীকার করে।

পুলিশ জানায়, রুবেল সহ তিনজন মিলে মোফাজ্জল হোসেনকে মোকামতলা থেকে অপহরণ করে ঢাকার আশুলিয়ায় নিয়ে যায়। সেখানে আশুলিয়া মরাগাং নামক একটি স্থানে কাঁশবনের ভিতর নিয়ে গিয়ে গলা কেটে হত্যার পর মরদেহ ফেলে রাখে।

আটককৃত রুবেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আশুলিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় কাঁশবন থেকে নিখোঁজ মোফাজ্জল হোসেনের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ।

শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিরা পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে মোফাজ্জল হোসেনকে মোকামতলা থেকে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে তুলে ঢাকার আশুলিয়ায় নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।