ধুনটে ইউপি নির্বাচনে ৯০টি ভোট কেন্দ্রের ৭১টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ

ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা :
রবিবার (২৮ নভেম্বর) বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই দিন সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ধুনট উপজেলার ৯০টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে যে কোন ঝুঁকি এড়াতে ১০টি ইউনিয়নের ৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭১ কেন্দ্রই ঝঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

শনিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা।

তিনি জানান, ধুনট থানা এলাকা থেকে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের দূরত্ব, যাতায়াত ব্যবস্থা, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের প্রভাব বিস্তারের সম্ভাব্য স্থান বিবেচনায় ৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭১টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

ধুনট সদর ইউনয়ন:

এই ইউনিয়নে ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে চান্দারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেলুকচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাঠপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিলকাজুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়া মাটিকোড়া উল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র শুধু ঝুঁকিপূর্ণ এবং পাকুরিহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পারধুনট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চৈতারপাড়া বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

তবে পাকুরিহাটা ভোট কেন্দ্রটি নৌকা মার্কার প্রার্থী বাড়ির কেন্দ্র হওয়ায় অধিকঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে অভিযোগ করেছেন মোটরসাইকেল মার্কার প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী।

এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ধুনট সদর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ রানা (নৌকা), বিদ্রোহী প্রার্থী ধুনট সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মন্টু (মোটরসাইকেল), স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর আজাদ (আনারস) ও শাহিনুর আলম টগর (ঘোড়া)।

নিমগাছী ইউনিয়ন:
এই ইউনিয়নে ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে বেড়েরবাড়ি সিনিয়র মাদ্রাসা, বেড়েরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, নাংলু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নান্দিয়ারপাড়া সিনিয়র মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়া নিমগাছী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিরাপাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধামাচামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিন ধামাচামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধু ঝুঁকিপূর্ণ এবং সোনাহাটা উচ্চ বিদ্যালয় সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আ’লীগের সদস্য সোনিতা নাসরিন (নৌকা), বিএনপির সমর্থিক বর্তমান চেয়ারম্যান আজাহার আলী পাইকার (ঘোড়া), স্বতন্ত্র প্রার্থী আলেক উদ্দিন মন্ডল (দুটি পাতা), জহুরুল ইসলাম প্রামানিক (মোটরসাইকেল), নবাব আলী মন্ডল (চশমা), রুহুল আমিন (অটোরিক্সা) ও শাহাদত হোসেন (আনারস)।

এলাঙ্গী ইউনিয়ন:
এই ইউনিয়নে ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে বিলচাপড়ি ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিন বিলচাপড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শৈলমারী দক্ষিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফকিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়া রাঙ্গামাটি আবুল হোসেন জহুরা উচ্চ বিদ্যালয়, এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় শুধু ঝঁকিপূর্ণ এবং রাঙ্গামাটি দিদারপাড়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্র সাধারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

তবে এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রটি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী আনারস মার্কার প্রার্থীর বাড়ির সামনে হওয়ায় এই কেন্দ্রটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে অভিযোগ করেছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী।

এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি করছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য তোজাম্মেল হক প্রামানিক (নৌকা), এলাঙ্গী ইউনিয়ন আ’লীগের সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান এম এ তারেক হেলাল (আনারস), বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী পৌর ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী শামছুদ্দোহা জিএম সম্রাট (ঘোড়া), এলাঙ্গী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পলাশ (মোটরসাইকেল), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আসাদুল শেখ (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ রানা (চশমা)।

চৌকিবাড়ী ইউনিয়ন:
এই ইউনিয়নে ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে বাটিকাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দিঘলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রুদ্রবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়া বিলকাজুলি পেঁচিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, অলাহামিদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঁচথুপি নছরতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধু ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিশ^হরিগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চৌকিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিয়ামতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

তবে চৌকিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রটি নৌকা মার্কার প্রার্থীর বাড়ির কেন্দ্র হওয়ায় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দাবি করেছেন আনারস মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী।

এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি করছেন আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী কুদরত ই খুদা জুয়েল (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসানুল করিম পটু (আনারস), ইসলামী আন্দোলনের দলীয় প্রার্থী মজনু শেখ (হাতপাখা) ও মকবুল হোসেন (ঘোড়া)।

মথুরাপুর ইউনিয়ন:

এই ইউনিয়নে ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে খাদুলী উচ্চ বিদ্যালয়, শিমুলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছাতিয়ানী রোকেয়া ওবাইদুল হক উচ্চ বিদ্যালয় ও বগা সরকারি প্রাথমিক অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়া পীরহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্যামগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাশিয়াহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নিশ্চিন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধু ঝুঁকিপৃর্ণ এবং মথুরাপুর সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্র সাধারন হিসাবে বিবেচিত হয়েছে।

এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ জেমস (নৌকা), জাতীয়পাটি মনোনীত প্রার্থী খাদেমুল ইসলাম (লাঙল), জাকের পার্টির প্রার্থী এমএ রাজ্জাক (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহফুজুর রহমান (মোটরসাইকেল), মোহাম্মদ আলী তালুকদার (ঘোড়া) ও শফিকুল ইসলাম (আনারস)।

গোপালনগর ইউনিয়ন:

এই ইউনিয়নে ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে বাঁশপাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাতটকিরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খাটিয়ামারী উচ্চ বিদ্যালয়, গজিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চকডাকাতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রান্ডিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়া গোপালনগর ইউএকে উচ্চ বিদ্যালয়, বানিয়াগাঁতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধু ঝুঁকিপূর্ণ এবং গোপালনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

তবে এই ইউনিয়নে গোপালনগর ইউএকে উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রটি নৌকা মার্কার প্রার্থীর বাড়ির কেন্দ্র হওয়ায় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্বতন্ত্র আনারস মার্কার প্রার্থী।

এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী শাহ আলম (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সমর্থিত সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম (আনারস), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী তরিকুল ইসলাম (হাতপাখা), জাকের পার্টির প্রার্থী ওমর আলী (গোলাপ ফুল)।

কালেরপাড়া ইউনিয়ন :
এই ইউনিয়নে ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে হেউটনগন দাখিল মাদ্রাসা, ইসলামপুর ঈশ^রঘাট দাখিল মাদ্রাসা, হাঁসখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আরকাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়া কাদাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধু ঝুঁকিপূর্ণ এবং কান্তনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, কালেরপাড়া দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয়, আনারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ ভোট কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে।

এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যান হারেজ উদ্দিন আকন্দ (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন শিপন (মোটরসাইকেল)।

চিকাশী ইউনিয়ন:
এই ইউনিয়নে ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে উত্তর বড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হটিয়ারপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, ঝিনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়া ভালুকাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোড়শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়, বড় চাপড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর চিকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধু ঝুঁকিপূর্ণ এবং চিকাশী আন্ত ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় সাধারণ ভোট কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

তবে এই ইউনিয়নে চিকাশী আন্ত ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রটি নৌকা মার্কার প্রার্থীর বাড়ির কেন্দ্র হওয়ায় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে অভিযোগ করেছেন মোটরসাইকেল মার্কার বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী।

এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা হলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান নাজমুল কাাদির শিপন (নৌকা), বিএনপির সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জুয়েল (মোটরসাইকেল), স্বতন্ত্র প্রার্থী সামসুজ্জোহা বেলাল (আনারস), আরিফুর রহমান (ঘোড়া), আব্দুর রাজ্জাক (চশমা), আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ (দুটি পাতা) ও মাহবুবুর রহমান মাছুদ (টেবিল ফ্যান)।

গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন:
এই ইউনিয়নে ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে চুনিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিথুলিয়া সরকাররি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খোকশাবাড়ি সরকাররি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পারনাটাবাড়ী সরকাররি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এছাড়া গোসাইবাড়ী এএ উচ্চ বিদ্যালয়, গোসাইবাড়ি মহিলা কলেজ, নাটাবাড়ি দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয় শুধু ঝুঁকিপূর্ণ এবং জোড়খালি ফাজিল মাদ্রাসা, বড়বিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ ভোট কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত।

এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা হলেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সামছুল বারী শেখ (নৌকা), বর্তমান চেয়ারম্যান মইনুল হাসান মুকুল (চশমা), স্বতন্ত্র প্রার্থী বগুড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক এএসএম জিয়াউল আলম (অটোরিকশা), আওয়ামীলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাসুদুল হক বাচ্চু (ঘোড়া), সাবেক চেয়ারম্যান রাশেদুজ্জামান উজ¦ল (মোটরসাইকেল) ও হারুন অর রশিদ (আনারস)।

ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন:
এই ইউনিয়নে ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বানিয়াজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মরিচতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এছাড়া শহড়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিউ সারিয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভান্ডারবাড়ি ছালেহা জাহান উচ্চ বিদ্যালয় শুধু ঝুঁকিপূর্ণ এবং আটাচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কৈয়াগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ ভোট কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত।

এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ার পারভেজ রুবন (নৌকা), বিএনপির সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল (আনারস) ও সাবেক চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বাবু (মোটরসাইকেল)।

ধুনট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোকাদ্দেছ আলী জানান, এই উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৯ জন প্রার্থী এবং মহিলা সদস্য পদে ১১৬ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৮২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এব্যাপারে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাব সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। তাই সুষ্ঠ ভোট হবে এবং যে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।