প্রধানমন্ত্রীর কটুক্তিকারীর বিরুদ্ধে এক মাসেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি!

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা :
বগুড়ার শেরপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটুক্তি ও ব্যঙ্গমূলক ভাষা প্রয়োগ করে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে প্রকাশ করায় সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বাবুল আহম্মেদ নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু অভিযোগ দায়েরের এক মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোন আইনি ব্যবস্থা না নেয়ায় অভিযোগকারীর প্রান সংশয়ে রয়েছে।

এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার ১৯ মে দুপুরে ভুক্তভোগি বাবুল আহমেদ শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাবুল আহম্মেদ বলেন, গত ১৮ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে সুলতান মাহমুদ তার নামীয় টিকটক আইডিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তিমুলক অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে ভিডিও তৈরী করে পোস্ট দেয়।

বিষয়টি আমি দেখতে পেয়ে সুলতান মাহমুদকে ভিডিওটি মুছে ফেলতে বললে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারপিট ও প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে আসছে। এ ঘটনায় আমি এলাকার কয়েকজন সচেতন ব্যক্তিকে অবগত করে ওই সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে ওইদিন রাতেই শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য অভিযুক্ত সুলতান মাহমুদ বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকী-ধামকী দিয়ে আসছে।

অপরদিকে থানায় অভিযোগ দেয়ার এক মাস অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ অজ্ঞাতকারণে সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেন নি। পুলিশের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় সুবিচার, প্রাণ সংশয় ও নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।

এ ব্যাপারে কটুক্তিকারী সুলতান মাহমুদ বলেন, আমার টিকটক আইডি হ্যাক করে অন্য কেউ ওই ভিডিওটি ছেড়েছে। ওই ঘটনায় থানায় অভিযোগ হলে ওসি সাহেব আমাকে ডেকে নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে।

এ ব্যাপারে সুঘাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: শাহাদৎ হোসেন বলেন, সুলতান মাহমুদ ওরফে লিটন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ব্যঙ্গ ভাষা প্রয়োগ করে টিকটকে যে বক্তব্য দিয়েছে তা অত্যন্ত অপমান জনক। আমি প্রশাসনের কাছে তার চুড়ান্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ দিয়েছে কিনা খুঁজে দেখতে হবে।