ঈদের ছুটিতে কাজিপুরের পর্যটন কেন্দ্রে মানুষের ঢল

আবু তৈয়ব সুজয়, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নাসিম পর্যটন কেন্দ্র, শহীদ এম মনসুর আলী ইকোপার্ক, মেঘাই নৌবন্দর এলাকা ও বাঐখোলা এলাকায় জয় বাঁধ। ওইসব এলাকা ঘুরে এমনটাই চোখে পড়ছে। যমুনার নির্মল বাতাস, পর্যটনের সৌন্দর্য, নৌকা ভ্রমণ, স্পিডবোট ভ্রমণ, ছোট ছোট দোকানে ফুসকা, হালিম আর শিশুদের বাহারি খেলনার দোকান আকর্ষণ করছে ঈদের ছুটিতে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের।

কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের পূর্ব পাশে, মাইজবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের পূর্ব পাশে এবং সিমান্তবাজারের উত্তর-পূর্ব পাশে, যমুনা নদীর ডান তীর নির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নাসিম পর্যটন কেন্দ্র, শহীদ এম মনসুর আলী ইকোপার্ক ও জয় বাঁধটি সারা বছর জুড়েই ভ্রমণ পিপাসুদের আনাগোনা থাকলেও দুই ঈদে চাপ বেড়ে যায় ওইসব এলাকায়।

স্ত্রী ও ছোট্ট ছেলে মেয়ে নিয়ে বেড়াতে এসেছেন বগুড়া থেকে আতিক রহমান। তিনি বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকুরীকরি, ছুটি পাওয়া যায় না। তাই ঈদের ছুটিতে স্ত্রী-সন্তানকে সাথে নিয়ে এসেছি পর্যটন কেন্দ্র দেখতে।

দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে পর্যটন এলাকার ছোট ছোট খাবারের দোকানগুলোতে। ফুসকার দোকানদার আনোয়ার হোসেন জানান, ঈদে অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি মানুষ পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে আসে। তাই বিক্রি ভালো হয়। ছাতার নিচে নিরিবিলি আড্ডায় মেতেছে অনেকে। শিশুদের খেলনার দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের খেলনা সামগ্রী। কৃত্রিম ফুলের টায়রা মাথায় দিয়ে নিজেকে সাজিয়ে সেলফি তুলছে কিশোরীরা। নৌকা ও স্পিডবোট ভাড়া করে কেউ কেউ আবার ঘুরে আসছে যমুনা নদীর এপার-ওপার।

কাজিপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বিপ্লব জানান, প্রায় সারা বছরই ভ্রমণ পিপাসুদের আনাগোনা থাকলেও দুই ঈদে চাপ বেড়ে যায় ওইসব এলাকায়। এসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার কারণে মানুষ আসে।

কাজিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শ্যামল কুমার দত্ত জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নাসিম পর্যটন কেন্দ্র, শহীদ এম মনসুর আলী ইকোপার্ক, মেঘাই নৌবন্দর এলাকা ও বাঐখোলা এলাকায় জয় বাঁধ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।