কাজিপুরে যমুনার চরাঞ্চলে পেঁয়াজ চাষে সফলতার মুখ দেখছেন কৃষকরা

আবু তৈয়ব সুজয়, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: অনুসন্ধানবার্তা
কাজিপুরের চরাঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সফলতার মুখ দেখছেন কৃষকেরা। অন্যান্য বছর যে জায়গা পতিত বালুচর হিসেবে পড়ে থাকত সেখানে এখন বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে পেঁয়াজ। চরাঞ্চলেও পেঁয়াজের ভালো ফলন হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষক।

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের নাটুয়ারপাড়া নৌ টার্মিনালের পাশে যমুনার নদীর পতিত বালুচরে চাষ হয়েছে পেঁয়াজের।

বাজারদর ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটে উঠেছে। কৃষি বিভাগ বলছে, সঠিক পরামর্শ এবং সহায়তা দিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করা হয়েছে।

কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ২৪০ হেক্টর জমিতে পেয়াঁজের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন বেশ ভালো হয়েছে।

উপজেলার নাটুয়ারপাড়া, তেকানী, খাসরাজবাড়ী, চরগিরিশ, মনসুর নগর, নিশ্চিন্তপুর, শুভগাছা ও মাইজবাড়ী ইউনিয়নের চরাঞ্চলে এবং নদীর বুকে প্রায় ২৪০ হেক্টর জমিতে এবার পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। যেসব জমিতে কোনো ফসল হয় না, সেসব জমিতে প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ২৫ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। মাত্র ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ করে পেঁয়াজ বিক্রি করছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো। বীজ ছিটিয়ে এই পেঁয়াজের চাষ করা হয়েছে।

নাটুয়াপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মতিউর রহমান জানান, তিনি ৩৩ শতক জমিতে পেঁয়াজের চাষ করেছেন। এর মধ্যে তিনি ১৫ শতকের পেঁয়াজ উঠিয়ে সাড়ে তিন হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন। তাঁর দাবি আগামী বছর এই যমুনার চরে অর্ধশত বিঘার বেশি জমিতে পেঁয়াজের চাষ হবে।

নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, যমুনাচরের পতিত বালিমাটিতে বীজ ছিটিয়ে পেঁয়াজ চাষ করা হয়। তাই উৎপাদন খরচ অনেক কম, তুলনামূলকভাবে ফলন বেশ ভালো হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম বলেন, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সঠিক সময়ে পরামর্শ এবং সহযোগিতা প্রদান করায় চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা খুশি। তিনি বলেন, যমুনাচরের পতিত জমিকে কাজে লাগানোর চেষ্টায় আমরা সফল হয়েছি। আগামীতে এসব জমিতে পেঁয়াজের চাষ আরো বাড়বে।