ধুনটে একের পর এক গোডাউন লুট, আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা

ইমরান হোসেন ইমন, অনুসন্ধানবার্তা:
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় একের পর এক গোডাউন লুটের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। সর্বশেষ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর রাতে ধুনট থানা ভবনের সামনের একটি গোডাউন ঘরের তালা ভেঙ্গে ১৫০ বস্তা সরিষা ট্রাকযোগে লুট করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক আরো বেড়ে গেছে।

জানাগেছে, ধুনট পৌর এলাকার কুঠিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক লিপটন সাহা ধুনট থানা ভবনের সামনের বটতলা এলাকায় তার নিজস্ব গোডাউন ঘরে প্রায় ৩০০ বস্তা সরিষা সংরক্ষণ করেন। প্রতিটি বস্তায় ৬৫ কেজি করে সরিষা ছিল। শনিবার ভোর রাতে দূর্বৃত্তরা ওই গোডাউন ঘরের তালা ভেঙ্গে ১৫০ বস্তা সরিষা ট্রাকযোগে লুট করে নিয়ে যায়। এঘটনায় শনিবার রাতে শিক্ষক লিপটন সাহা বাদী হয়ে ধুনট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

তবে এরআগে গত ২৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে ধুনট বাইপাস সড়কের ব্যবসায়ী শামীম সরকারের গোডাউন ঘরের তালা ভেঙ্গে একই কায়দায় ৬০ কেজি ওজনের ৩০০ বস্তা ভুট্টা ট্রাকযোগে লুট করে নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। এঘটনায় ব্যবসায়ী শামীম সরকারও বাদী হয়ে ধুনট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এছাড়া একই কায়দায় গত ৭ ডিসেম্বর রাতে ধুনট উপজেলার পাশ^বর্তী কাজীপুর উপজেলার সোনামুখি বাজারের একটি গোডাউনেও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয় লোকজন ধারনা করছেন ধুনট-শেরপুর-কাজীপুর উপজেলার সংঘবদ্ধ একটি চক্র কৌশলে একই লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে একের পর এক গোডাউন ঘর লুটের ঘটনা ঘটলেও এখনও মালামাল উদ্ধার বা গ্রেফতার হয়নি সেই দূর্বৃত্তরা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা।

এবিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পত্রিকার এজেন্ট সঞ্জয় সাহা জানান, একের পর এক গোডাউন ঘর লুটের ঘটনা ঘটলেও কোন আসামী এখনও গ্রেফতার হয়নি। এতে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

তবে এবিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈকত হাসান জানান, এসব লুটপাটের ঘটনা পুলিশ তদন্ত করছে এবং আসামীদের সনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।